সোনারগাঁয়ে এক গার্মেন্টস কর্মীকে গণধর্ষনের মামলায় পাঁচ জনকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডকৃত আসামীরা হলেন, জামপুর ব্রক্ষ্মনবাওগাঁও গ্রামের মোঃ মুজিবুর রহমানের ছেলে আবু সাঈদ (২৫), মোঃ রেহাজ উদ্দিনের ছেলে ইমরান (২৩), নবী হোসেনের ছেলে রনি মিয়া (২০), আবু সিদ্দিক মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন (৩২), বাগবাড়িয়া গ্রামের ভুট্রো মিয়ার ছেলে মাসুদ (২২)। এছাড়া ব্রক্ষ্মনবাওগাঁও গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে আরিফ (১৯) ও মৃত সামসুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর (২৮) পলাতক রয়েছে।
রিমান্ড মঞ্জুরের সত্যতা নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল হাই বলেন, দুপুরে গনধর্ষণ মামলায় পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করলে প্রত্যেককে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর রাতে উপজেলার রূপগঞ্জ রবিন টেক্স গার্মেন্ট থেকে ছুটি শেষে তার বাড়ি গাউছিয়া উদ্দেশ্যে একটি অজ্ঞাত সিএনজিতে উঠে। সেখানে দেখতে পাই জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যক্তি সিএনজিটির পিছনের সিটে বসে আসে। পরে সে গাউছিয়া আসার পর সিএনজিটি থেকে নামতে বললে কার সাথে বসা জাহাঙ্গীর চালককে বাঁধা দেয় এবং গার্মেন্ট কর্মীর মুখে স্কচটেপ পেচিয়ে সিএনজিটিক সোনারগাঁয়ের তালতলা এলাকার দিকে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার ৭টার দিকে সিএনজিটি ব্রক্ষনবাওগাঁ এলাকার জৈনিক হালিম মিয়ার একটি দোচালা ঘরে নিয়ে যায়।
ঘরে প্রবেশ করে দেখে আবু সাইদ ও আরিফ নামের ২ ধর্ষক আগে থেকে সেখানে অবস্থান করছে। পরে গার্মেন্ট কর্মীকে প্রথমে আবু সাঈদ জোর পূর্বক ধর্ষন করে। পরে একে একে ৭জন মিলে তাকে গণধর্ষন করে।