ফতুল্লা মাসদাইর ঘোষেরবাগ এলাকায় মাদক স¤্রাট সাব্বির হোসেন ও তার সহযোগীরা মাদক ব্যবসাসহ এলাকার মধ্যে ছিনতাইয়ের মত জগন্য কর্মকান্ড করে আসছে। আর সাব্বিরের এই বেপোরোয়া কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকার শান্তি প্রিয় সাধারন মানুষ। জানাগেছে সাব্বির মাসদাইর ঘোষেরবাগ এলাকার জাহাঙ্গিরের ছেলে।
সংশ্লিষ্ট সূএে জানাগেছে, সাব্বির ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার মধ্যে প্রকাশ্যে ও গোপনে মাদক সেবন ও বিক্রি করে আসছে। এছাড়াও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রন ও এলাকার আদিপত্য বিস্তারের লক্ষে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেও বেড়াচ্ছে তারা। শুধু তাই নয় এলাকার মধ্যে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য পুলিশের সোর্সের তকমা ও লাগিয়েছে ওই মাদক ব্যবসায়ী সাব্বির। তাদের এই কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানাতে গেলে নিজেদের পুলিশ সোর্স পরিচয় দিয়ে সাধারন মানুষদের হয়রানি করার একাধিক অভিযোগও পাওয়া গেছে।
সূএ আরো জানায় মাদকের এই ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য সাব্বির তার নিজের রিকশার গ্রেজে আস্তানা তৈরি করেছে। সেই রেস ধরে মঙ্গলবার রাতে রিকশার গ্রেজ ম্যানেজার আবুল হোসেনের বাড়ি থেকে ৪০ পিছ ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। শুধু তাই নয় এখানে প্রতিনিয়ত ঘোসের বাগ এলাকার নান্নুর ছেলে সুইট ও জাহিদের নেতৃত্বে মাদকের রমরমা আসর ও জমায়। এই আসরের মুল হুতা এই সাব্বির। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অভিনব কায়দায় সাব্বির মাদক বিক্রি করে আসছে। সম্প্রতি জেলা পুলিশের মাদকের তালিকায় এই সাব্বির গংদের নাম তালিকায় না থাকার কারনে অনেকেই উদ্ধেগ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে এই মাদক ব্যবসার লেনদেন নিয়ে সাব্বির ও ফেরদাউস গ্রুপের মধ্যে গত বুধবার (২ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ১১ টায় তান্ডব লীলা শুরু হয়। এসময় মাদক ব্যবসায়ীরা প্রায় অধ্য শতাধিক বাড়ি ঘর ভাংচুর করে। এসময় মাদক ব্যবসায়ীদের এ তান্ডবে প্রতিবাদ করায় দক্ষিণ মাসদাইর ঘোষেরবাগ এলাকার পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি হাজী আফজাল হোসেনসহ এলাকাবাসির উপর চওড়ায় হয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা অকাত্য ভাষায় গালিগালাজ ও তাদের প্রান নাশের হুমকি দেয়। পরে হাজী আফজাল হোসেনসহ এলাকাবাসির নিরাপওার স্বার্থে এসপি বরাবর ও অভিযোগ পএ দাখিল করা হয়।
প্রত্যক্ষ সূএে আরো জানাগেছে, মাসদাইর ঘোষেরবাগ এলাকায় চিহ্রিত মাদক স¤্রাট হাবিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য পুলিশ ও পুলিশের বহনকারী সিএনজি‘র উপর হামলা চালায় সাব্বির হোসেন ও তার সহযোগীরা। এসময় পুলিশ কৌশলে সিএনজি‘র সাথে হাবিবের হ্যান্ডক্যাপ পড়িয়ে আটক করে রাখে। অতৎপর মাদক স¤্রাট সাব্বির ও তার দলবলসহ হাবিবকে ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়।
ঐ সময় হাবিরের কাছে ২শ’পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পেয়েছিল পুলিশ। রহস্য জনক কারনে হামলাকারীর মূল হোতা মাদক স¤্রাট সাব্বিরকে আটক করলেও ঘটনা স্থলেই ছেড়ে আসেন পুলিশ। পুলিশের সামনে দাম্ভিকতার সাথে সাব্বির বলেন আমি জাহাঙ্গির সাহেবের ছেলে আমাকে কেন ধরছেন এতবড় সাহস আপনি পেলেন কোথায় এমনটাই বললেন উপস্থিত জনতা। পরে ফতুল¬া মডেল থানার নারায়নগঞ্জ জেলার “ক”অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দীন ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং গ্রেপ্তারকৃত মাদক বিক্রেতা হাবিবকে থানায় নিয়ে আসে।
তবে পুলিশের গাড়ীতে হামলার যিনি পরিকল্পনাকারী মাদক ব্যবসায়ী সাব্বির তিনিই ছাড়া পেলেন আর এনিয়ে এলাকার মধ্যে সমালোচনার ঝড় বইয়েছিল। এরই মধ্যে এই মাদক ব্যবসায়ী সাব্বির ডিবির হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। পরে ডিবির কাছে মুছলেখা দিয়ে মুক্তি পায়। এমতাবস্থায় এলাকাবাসি মাদক ব্যবসায়ী সাব্বির গংদের আইনের আওতায় এনে এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।