প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক বলেন, আফির উদ্দিন মাষ্টার যিনি মারা গেছেন তিনি তার পরিবারের সদস্যরা এখানে আছে। কিন্তু আজ তিনি নেই তার পরেও তার শিক্ষার জন্য তাকে মনে রেখেছেন। শিক্ষকদের অবস্থান আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি।
যিনি রাজনীতি করেন কিছুদিন ভালো করলে জনগণ তার কথা বলবে, খারাপ করলে তার কথা বলবে না। একটা সময় তাকে ভুলে যাবে। বর্তমানে অনেক শিক্ষক রয়েছেন জীবিত আছেন সুস্থ আছেন আপনাদের সামনে আছেন যারা তাদেরকেও আফির উদ্দিন মাষ্টারের মত মৃত্যুর পরেও আপনাদের মনে রাখে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে দেলপাড়া লিটল জিনিয়াস স্কুল প্রাংগনে আফির উদ্দিন মাষ্টার স্মৃতি বৃত্তি পরিষদের উদ্যোগে বৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্র- ছাত্রীদের সম্মাননা (২০১৮) অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এই স্কুলে আমি এসে দেখলাম দেয়াল ঘড়ি ঝুলছে মাইকের ব্যবস্থা রয়েছে, এত পরিপাটি স্কুল আমার চোখে পড়েনি। তবে এর রকম স্কুল আছে কিনা সেটি আমার জানা নাই। এই সুন্দর পরিবেশ সমস্ত কিছু বুঝানোর মতো যদি এরকম হয় তাহলে আপনাদেরকে হাজার সালাম। কিন্তু এর চেয়ে অনেক বড় ব্যাপার আমাকে কিন্তু একবারও বলতে হলো না যে তোমরা চুপ করো চুপ না করলে কথা বলবো না।
আমার মনে হয় আপনারা বাচ্চাদের ভালবাবে শিক্ষাদান করছেন। আপনারা লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সবকিছু শিখাবেন কারণ ভালো শিক্ষার্থী হওয়ার পাশাপাশি একজন ভালো মানুষ হতে হবে তাদেরকে।
আফির উদ্দিন মাষ্টার স্মৃতি বৃত্তি পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ সেলিম মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, দেলপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব ফজলুল হক, মোঃ আমির হোসেন, আলহাজ্ব মোঃ নুরুল হুদা, আলহাজ্ব মোঃ বদর উদ্দিন আহম্মেদ,আলহাজ্ব মোঃ সিরাজুল ইসলাম,দেলপাড়া লিটল জিনিয়াস স্কুল এন্ড কলেজ গভনিং বডির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মোতাহার হোসেন,জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ মোস্তফা হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
বক্তব্য শেষে আফির উদ্দিন মাষ্টার স্মৃতি বৃত্তি পরিষদ আয়োজিত ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন স্কুল থেকে অংশগ্রহনকারী ২৫ জন বৃত্তি প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি বৃন্দ।