প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তবে এখনও পুরোপুরি বিপদ কাটেনি। এর প্রভাবে আগামী দু’দিন বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত, কখনও থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে। পুরোপুরি শুষ্ক আবহাওয়া আসতে আরও তিন থেকে চার দিন সময় লাগতে পারে।
রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেছিলেন, ‘রংপুর অঞ্চল ছাড়া সারাদেশেই বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের মধ্যভাগে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজধানীতে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিপাত আরও বাড়বে। সেই সঙ্গে কিছু বাতাসও হবে।’
সকাল ১০টার পর আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে বললে ঘূর্ণিঝড়টি খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী অঞ্চলের স্থলভাগে গভীর নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। কুমিল্লা দিকে যাওয়ার প্রবণতা এখনও আছে। ওই অঞ্চলে আকাশ এখনও মেঘলা আছে।
কখনও কখনও বৃষ্টি হচ্ছে। নিম্নচাপ যখন আরও ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাবে, তখন ধীরে ধীরে আবহাওয়া পরিষ্কার হয়ে যাবে।’
এমনও হতে পারে এটি বাংলাদেশের ভেতরেই দুর্বল হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের সীমানা প্রবেশ করতেও পারে, নাও করতে পারে। যদি ভারতীয় অংশে যায়, সেটি ত্রিপুরার দিকে যাবে। ত্রিপুরার দিকে গেলে সেখানে বৃষ্টিপাত হবে।
দমকা হাওয়া হতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে যা ঘটে, সে ধরনের কিছু ত্রিপুরায় ঘটবে না’, যোগ করেন আবহাওয়া অধিদফতরের এই পরিচালক।
শামসুদ্দিন আহমেদের মতে, ‘এখন আমরা স্বাভাবিকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ক্ষতিক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আগে যে মাত্রায় ছিল, এখন সেই মাত্রায় নেই। ঘরবাড়ি উড়িয়ে নেয়ার আশঙ্কা আর নেই।’
সূত্র:(জাগো নিউজ)