পড়ালেখার পাশাপাশি সংসারের অর্থ যোগানের প্রধান উৎস অটো রিক্সা হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মাদ্রাসার ছাত্র হাফেজ মোঃ ইউনুস (১৯)। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর দায়ের করা মামলার বিবরনে এমনটাই ফুটে উঠে এসেছে।
মামলার বিবরনে জানা যায়, সদর উপজেলা ফতুল্লা লালপুর এলাকার গোলাম রসুল মিয়ার বাড়ীর ভাড়া টিয়া ও দারুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হাফেজ মোঃ ইউনুস পড়াশোনার পাশাপাশি জীবিকার তাগিদে মিশুক অটো রিক্সা চালাত।
প্রতি দিনের ন্যায় রোববার (৩ নভেম্বর) সকাল ৭ টায় ফতুল্লা লঞ্চ ঘাট থেকে ৩ জন যাত্রী নিয়ে চিটাগাং রোডের উদ্দেশ্যে রউনা হয়। যাত্রী নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ পাইনাদী নতুন মহল্লা সাকিনস্থ রেকমত আলী স্কুলের পাশে একটি দোকানের সামনে রাখতে বলে। এ সময় তারা কৌশলে ইউনুসকে বিস্কুট ও একটি জুস খেতে দেয়।
তাদের দেয়া খাবার খেয়ে ইউনুস অজ্ঞান হয়ে পরলেতাকে রাস্তার পাশে ফেলে মিশুকটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় তাকে খানপুর হাসপাতালে চিকিৎসা দিলে এক দিন পর তার জ্ঞান ফিরে আসে।
জ্ঞান ফেরার পর তার মিশুকের সন্ধানে পাইনাদী নতুন মহল্লা সাকিনস্থ রেকমত আলী স্কুলের পাশে দোকানটিতে গিয়ে সন্ধান করলে তাদের সহযোগীতায় নজরুল ইসলাম (৫০ কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে আটককৃত আসামীর সহযোগীতায় বাকি দুই আসামী আলী (৩৫) ও শফিক (৩৪) এর নাম জানতে পারে।
এ বিষয় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় মামলা নং-(০৯-০৫/১১/১৯)। আর মামলা আসামীরা হলো, পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকার আমির হোসেনের বাড়ীর ভাড়া টিয়া মৃত: আমান উল্লাহ্র ছেলে নজরুল ইসলাম, বন্দর থানাধীন লাঙ্গলবন্দ এলাকার হযরত আলীর ছেলে আলী ও ফতুল্লা থানাধীন বটতলা এলাকার শফিক।