বায়তুল মামুর জামে মসজিদে পবিত্র কোরআন শরীফ শিক্ষা কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বাদ মাগরিব গলাচিপা কলেজরোডস্থ বায়তুল মামুর জামে মসজিদে অত্র মসজিদ কমিটির উদ্যোগে চলমান কোরআন শিক্ষা কার্যক্রমের তৃতীয় ব্যাচের ছবক কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. এনায়েতুল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও ১৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক জাতীয় ফুটবলার মোঃ রবিউল হোসেন, বায়তুল মামুর জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি এম এ সাত্তার, সাধারন সম্পাদক এস এম শাহ আলম, প্রবীন শিক্ষাবীদ মোঃ শমসের আলী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআনুল হাকিম থেকে তিলাওয়াত করেন বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সানী ইমাম মোহাম্মদ আনোয়ার হাকিম বকুল ও মোহাম্মদ আলী আজম এবং ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন কামাল উদ্দিন মল্লিক। কোরআন শিক্ষা ক্লাসের ছাত্রদের মধ্যে নিজেদের অভিমত ব্যাক্ত করেন মোঃ জুম্মন হোসেন এবং জনতা ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ।
এসময়, মেহমানদের বক্তব্যে মোঃ রবিউল হোসেন বলেন, আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব পবিত্র কোরআন শিক্ষার যে উদ্যোগটি নিয়েছেন সেটি আসলেই একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ এবং বিরল ঘটনা। আমরা এলাকাবাসী সত্যিই অনেক ভাগ্যবান যে তার মতো ইমাম পেয়েছি।
পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ হলো কোরআন। আমাদের মসজিদ কমিটি সর্বশ্রেষ্ঠ কোরআন শিক্ষার উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। আমি আশা করবো আমাদের এলাকার সবাই পর্যায়ক্রমে এই মহতী উদ্যোগ চালু রাখার বিষয়ে সহযোগীতা করবেন।
তিনি আরো বলেন, আমার রাসুল যখন হেরা পর্বতের গুহায় আল্লাহকে স্মরণ করতেন তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রথম বানী আসে ইকরা, যার অর্থ পড় তোমার প্রভুর নামে। এর মানে এটাই যে, আল্লাহকে চিনতে হলে কোরআন পড়তে হবে। কোরআন মানুষকে দ্বীনের পথ দেখায়।
কোরআন সবাই পড়তে পারেনা। আপনারা যারা কোরআন শিখছেন, পড়ছেন আপনারা সকলেই ভাগ্যবান। মহান আল্লাহ আপনাদের সেই পবিত্র গ্রন্থ শেখার তৌফিক দান করেছেন। সৃষ্টিকর্তা মানুষের অন্তরে বসবাস করে। মানুষকে ভালোবাসাই আল্লাহকে পাওয়ার প্রথম শর্ত।
মসজিদ কমিটি সহ আমরা এলাকার সবাই চেষ্টা করবো পাশে থাকতে যেন সবসময় আমাদের মসজিদে একের পর এক কোরআন শিক্ষা চলতে থাকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সমাপনী বক্তব্য ও দোয়া করেন কোরআন ছবক ক্লাসের ওস্তাদজি। পরে ছাত্রদের মাঝে পবিত্র কোরআন শরীফ বিতরণ করা হয়।