নারায়ণগঞ্জের একটি অনলাইন পোর্টালে কর্মরত এক সাংবাদিককে অযথাই মারধর সহ অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছে অভিযোগ উঠেছে নারায়ণঞ্জ সদর মডেল থানার দু’জন পুলিশ কনষ্টেবলের বিরুদ্ধে।
এসময় নিজেকে ছাত্র পাশাপাশি অনলাইন নিউজ পোর্টালে কর্মরত আছে পরিচয় দিয়ে আইডি কার্ড প্রদর্শন করার পর ওই সাংবাদিককে ‘সাংবাদিকের গোষ্ঠি… দিমু’ বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা সহ হুমকি দেয় ওই দুই পুলিশ কনষ্টেবল আব্দুল মালেক এবং মাসুদ।
নগরীর কালিরবাজার চারারগোপ এলাকার ফলের আড়তের সামনে নেক্যারজনক এই ঘটনাটি ঘটে। তবে ঘটনার সময় ওই দুই পুলিশ কনষ্টেবলের গাঁয়ে পুুলিশের পোশাক এবং সাথে ফাইবারের অত্যাধুনিক রুলার থাকলেও বুক পকেটে ছিলোনা তাদের নেম প্লেইট।
জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ডট কম এর স্টাফ রিপোর্টার রাব্বি সরকারকে কোন প্রকার কারণ ছাড়াই বেধরক মারধর করে। এসময় পরিচয় দিলে আরো মারধর করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে রাব্বি সাংবাদিকদের ফোন করলে কালিবাজারে গিয়ে দেখে পুলিশদের পোশাক থাকলেও তাদের নাম ব্যাচ ছিল না।
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে পকেট থেকে ব্যাচ বের করে পড়ে। পরে কনষ্টেবল আঃ মালেক ভুল স্বিকার করে ক্ষমা চায়। তখন সাংবাদিকরা চলে আসার সময় কনষ্টেবল আঃ মালেক রাব্বির কানের কাছে এসে বলেন সাংবাদিকের গোষ্টি… দিমু।
নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ এর স্টাফ রিপোর্টার রাব্বি বলেন, আমি কালিবাজারে ডাব আনতে যাই। তখন ডাবের দোকানের পিছনে প্রস্রাব করতে বসি। পরে দু’জন পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে বলে তর সাথে কি আছে? আমি বললাম কিছু নাই।
তখন আমাকে ওনার হাতে থাকা ফাইবারের রুলার দিয়ে পিটাতে থাকে। পরে আমি বললাম আমি একজন স্টুডেন্ট এবং পাশাপাশি একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে কাজ করি। তখন আমাকে অন্ধকারে নিয়ে আরো মারধর করে চলে যায়। পরে সাংবাদিকদের ফোন করলে কালিবাজারে গিয়ে কনষ্টেবল আঃ মালেকে প্রশ্ন করলে ভুল স্বিকার করে ক্ষমা চায়। তখন সাংবাদিকরা চলে আসার সময় কনষ্টেবল আঃ মালেক রাব্বির কানের কাছে এসে বলেন সাংবাদিকের গোষ্টি… দিমু।
এ ঘটনায়, নারায়ণগঞ্জ ফারি ইনচার্জ মিজানুর রহমান মিজান অভিযুক্ত দুই কনষ্টেবলকে ডেকে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা অভিযোগ স্বীকার করেন। পরে, মিজানুর রহমান মিজান নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ডট কম এর সম্পাদক সহ থানায় উপস্থিত অর্ধ শতাধিক সাংবাদিকদের নিকট অনাকাঙ্খিত এ ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন।
এদিকে, এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামানকে অবগত করলে রাত পৌণে ১১টার সময় তিনি থানায় এসে অভিযুক্ত ওই দুই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক ব্যাবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।