নারায়ণগঞ্জ যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ( নিটা)কে ভূয়া ভর্তি,অবৈধভাবে ঔষধ রাখার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালত নিটাকে জরিমানা করে।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাহিদা বারিক ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করেন।
জানা যায়, শহরের তোলারাম কলেজ সংলগ্ন নারায়নগঞ্জ যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ( নিটা) দীর্ঘদিন যাবত কম্পিউটার, মেডিকেল,এলএমএএফ নামে প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা বলে ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করে আসছিল। কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করলে ইউএনও এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিটাতে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ ইমতিয়াজের সামনে নিটার পরিচালক ও প্রতারক অহিদুল ইসলাম ভূইয়া ভ্রাম্যমান আদালতকে বলেন,সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলে মেডিকেলে ও এলএমএএফে ভর্তি করিয়েছে। এ সময় উপস্থিত সিভিল সার্জন নিজের পরিচয় দিলে ভূল হয়েছে বলে ক্ষমা চান প্রতারক অহিদুল ইসলাম ভূইয়া।
নিটা কম্পিটার প্রশিক্ষন কেন্দ্র হলেও অবৈধ পন্থায় বিভিন্ন ধরনের ঔষধ স্টক করে রাখে। মেহেদী হাসান টিটু নামে লোক কম্পিউটারের নিয়মিত ক্লাস না নেয়ার অভিযোগ করেন নিটার বিরুদ্ধে।
পরে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিক নিটার প্রতারক ও পরিচালক ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, ড্রাগ আইনে মৃত মোঃ আলী ভূইয়ার পুত্র অহিদুল ইসলাম ভূইয়া কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং ভবিষ্যতের জন্য সর্তক করে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ ইমতিয়াজ, জেলা ড্রাগ সুপার ইকবাল হোসেন,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জাহিদুল ইসলাম, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক স্বপন কুমার দেবনাথ,স্যানিটারী ইন্সপেক্টর শাহজাহান হাওলাদার প্রমুখ।
পরে নিটার পরিচালক অহিদুল ইসলাম ভূইয়া সাংবাদিকদের বলেন,নিটার নামে কিছু লিখবেননা। প্রশান্তি হেলথ ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক এম রহমান মেডিকেলে শিক্ষার্থী ভর্তি করেছেন। আমার এখানে ল্যাব ব্যবহার করতো। উনি চলে গিয়ে আমাকে ফাঁসিয়ে গেছেন। আমি রহমানের নামে অভিযোগ করবো।