নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর আকবর নগরে সামেদ আলী হাজ্বী ও আব্দুর রহিম হাজ্বী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশসহ পাল্টাপাল্টি ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ৪৭,৪৮ ও ৪৯নং মামলাটি দায়ের করা হয়। এর মধ্যে পুলিশের কাজে বাধা প্রদান করায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন যার নং ৪৭।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়,সোমবার দুপুরে বক্তাবলীর আকবর নগওে সামেদ আলী ও রহিম হাজী গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের কাঝে বাধা প্রদান করায় রহিম হাজীকে ১নং আসামী করে নামীয় ৩৮ জন এবং অজ্ঞাত আসামী করা হয় আরো ১৫০/২০০জনকে। এর আগে থানা পুলিশ একটি জিডি করেন যার নং ৯৯৪। এবং যে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে তার নং ৪৭ ( ১৯/১১/১৯ইং) ধারা ১৪৩/১৪৮/১৪৯/৩৫৩/৩৩৩/১৮৬/৩৩২/৩০৭ এর ৩৪ দঃবিঃ।
এদিকে সামেদ আলীকে ১নং এবং তার স্ত্রী নাসিমাকে ২নং আসামী করে নামীয় ৩৭ জন এবং অজ্ঞাত ২০/২৫জনকে আসামী করে একটি মামলা করেন রহিম হাজীর স্ত্রী মাসুদা বেগম যার নং ৪৯ ( ১৯/১১/১৯ইং) ধারা ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৮০/৪২৭/৫০৬/১৪৪ দঃবিঃ।
অপর দিকে রহিম হাজীকে ১ নং আসামী করে নামীয় ৩০ জন এবং অজ্ঞাত ১০০/১৫০ জনকে আসামী করে আরেক মামলা করেন আকবরনগর এলাকার মৃত.সাদেক আলীর ছেলে আবুল হোসেন যার নং ৪৮ ( ১৯/১১/১৯ইং। ধারা ১৪৩/১৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৪২৭/৩৮০/৫০৬/১৪৪ দঃবিঃ।
গতকালের সংঘর্ষের ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ রহিম হাজীসহ ৭জনকে গ্রেফতার করে। এ সময় রহিম হাজ্বীর ভাইয়ের বাড়ীর পাশের পরিত্যক্ত জায়গা হতে ৩০ টি টেটা উদ্ধার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য যে, সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ১২ টায় দু গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ ৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন ও ১ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
সামেদ আলী হাজ্বী ও রহিম হাজ্বীর গ্রুপের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনায় আতংক সৃষ্টি হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার ( ক -অঞ্চল) ইমরান মেহেদী সিদ্দিকী, ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন ঘটনাস্থল পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়,সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহিম হাজ্বী ও সামেদ আলী বাহিনীর মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টার ঘটনায় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
রহিম হাজ্বীর লোকজনের দাবী রহিম হাজ্বীর ভাতিজা জিহাদ ও আল আমিন তার দোকান থেকে মাল সরিয়ে আনতে গেলে সামেদ আলীর লোকজন মারধর করে। খবর পেয়ে রহিম হাজ্বী ঘটনাস্থল গেলে তাকে মারধর করে সামেদ আলীর লোকজন।রহিম হাজ্বীর ইটভাটার শ্রমিকদের হুমকি দিয়ে ইটভাটা হতে তাড়িয়ে দেয়া হয়। আকবর নগর পুলিশ বক্স সামেদ আলীর পক্ষে কাজ করে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
সামেদ আলীর স্ত্রী জানান,জসিম নামে আমার এক আতœীয় গাছ কাটতে গেলে রহিমের লোকজন জসিমকে মারধর করে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে সামেদ আলীর পুত্র গনি,রাজিবের নেতৃত্বে আলমগীর, হৃদয়,গফুর,জালাল,আলাউদ্দিন, জসিম সহ আরো ৩০/৪০ জন সংঘবদ্ধ হয়। পরে রহিম হাজ্বীর রাজু,কবির ও নবীর নেতৃত্বে লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে। সংঘর্ষে তেমন রক্তক্ষয় না হলে ও উভয় পক্ষের ২ জন আহত হয়। এরা হলেন রাজু ও ইউসুব আলী।
রহিম হাজ্বীর লোকজন জানান,আজ সামেদ আলী ৫ লাখ টাকা রহিম হাজ্বীকে দেয়ার কথা ছিল। টাকা না দেয়ার জন্য মারামারির ঘটনা ঘটিয়েছে।
পুলিশ রহিম হাজ্বীর পুত্র মিলন,বোনের ছেলে এরশাদ, আনোয়ার হোসেন ও সিয়ামকে আটক করে।