বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এড. আহম্মদ আজম খাঁন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বিএনপির মূল ধারার বাইরে কোন সহযোগী সংগঠনের রাজনীতির চলতে পারে না। এছাড়া প্রকৃয়ার ছাড়া নিয়মনীতি না মেনে কোন কমিটি ঘোষণা করা হলে সেটা হবে অবৈধ।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুর দেড়টায় কালিবাজারস্থ মহানগর বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মহানগর তাঁতী দলের সাংগঠনিক পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষন সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এ্যাড. আবুল কালাম এবং সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালের সুপারিশ ছাড়া যে সকল কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সে সকল কমিটির বিষয় খোজ খবর নেন। সেই সাথে ঐ সকল বিষয় এ্যাড. আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক এটি এম কামাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর বক্তব্য শুনেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজম খাঁন আরও বলেন, বিএনপি রাজনীতি করবে আর তাদের সহযোগীতা করবে ১১টি সহযোগী সংগঠন। এর বাইরে রাজনীতি করলে সেটা হবে উদ্দেশ্য বিলিন হওয়ার সামিল। তাই আর ঘরে বসে পকেট কমিটি আর চলবে না। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সুপারি ছাড়া কোন কমিটিই কার্যকর হবে না।
এটা আমাদের কথা নয় এটা বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ার ম্যান তারেক রহমানের কথা। সেই লক্ষেই তিনি আমাকে আহবায়ক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দিয়েছেন সারা দেশের খবর নেয়ার জন্য। আপনাদের এই সব বিষয় নিয়ে আমি তার কাছে রির্পোট করবো। তার সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত হবে। কারন তার মূল্য উদ্দেশ্য হচ্ছে বিএনপির সাথে সহযোগী সংগঠন গুলো কাজ করছে কিনা সে বিষয় খোজ খবর নেয়া। আমরা সেটাই করছি।
প্রধান বক্তা হিসেবে কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী বলেন, বিএনপির সহযোগী সংগঠন ১১ টি কিন্তু সবাই যুবদল ও ছাত্রদলকেই বেশী মূল্যায়ন করে। কিন্তু ১১টি সংগঠনই সমান অধিকার। আমরা সারা দেশের তাঁতী দলের খোজঁ খবর নিচ্ছি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আমরা ঘরে বসে নেতৃকে মুক্ত করতে পারবো না। তাই বিএনপির নেতাদের নির্দেশ মোতাবেক সহযোগী সংগঠনকে চলতে হবে।
নতুবা তারেক রহমানের নির্দেশে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কারন আমরা একটি স্বৈরাচারী সরকারের অধিনে আছি, আমাদের প্রয়োজনেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তার মুক্তির সাথেই আমাদের ভোটাধিকার ও দেশের গণতন্ত্র উদ্ধার হবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর তাঁতী দলের আহবায়ক মীর আলগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এ্যাড. আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক এটি এম কামাল, অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য অধ্যপক আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় তাতী দলের সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান,
মহানগর বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, আবুল কাউছার আশা, সহ রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপি নেতা সোলেইমান, মনিরুজ্জামান মনির, মনির হোসেন, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, আল আরিফ, মানিব বেপারী,দুলাল হোসেন,
মহানগর ছাত্র দলের সহ-সভাপতি শফিক আহম্মেদ, আরাফাত হোসেন, দর্পন প্রধান, মহানগর তাঁতী দলের সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, যুগ্ম-আহবায়ক অপু রহমান, সুমন হাওলাদার, বন্দর থানা তাঁতী দল নেতা হারুন উর রশিদ, মিলন, মহিউদ্দিন মাহি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।