এদেশে কোন মানবাধিকার নাই: এটিএম কামাল
বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির ব্যানারে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের উদ্যোগে র্যালী ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দরা।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব সংলগ্ন এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এর আগে বিক্ষোভ সমাবেশ পূর্বক নগরীর মিশনপাড়া থেকে র্যালী বের করে চাষাড়া শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। পরবর্তীতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থথলে যোগদান করেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
এ সময় বিক্ষোভ সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. জাকির হোসেন বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ৩ বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সরকারের মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি। আওয়ামী সরকার বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রন করে তার জামিনে বাধাগ্রস্থ করছে। শুধু তাই নয় বাকশাল কায়েম করে সারা দেশকে কারাগারে পরিনত করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্বাধীন দেশের মানুষ হয়েও কথা বলার অধিকার, ভোটাধিকার, মৌলিক অধিকার পাচ্ছি না। দেশের গনতন্ত্রকে বিলিন করে দিয়েছে সরকার। গনতন্ত্রের মা আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির মাধ্যমে গনতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলন অব্যহত রাখবো। কোন অপশক্তি এই আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
এসময় উপস্থিত প্রশাসনের সদস্যরা তাদের ব্যানার ছিনিয়ে নেয় এবং নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। একপর্যায় নেতা ও কর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকার বিরোধী শ্লোগান দিতে দিতে সমাবেশ স্থল ত্যাগ করেন।
পরবর্তীতে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, বিশ্ব মানবাধিকার দিবসের র্যালীতে বাঁধা দিয়ে সংবিধানকে অবমাননা করা হয়েছে। আমরা রাষ্ট্রের ও সংবিধানের পক্ষে ছিলাম। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই সেই সাথে সকলে ঐক্যবদ্ধ থেকে সংবিধানকে সমুন্নত রাখার আহবান জানাই।
পাশাপাশি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। কারন আজকে আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার দিবসে আমরা বলতে চাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ কারাগারে। সেটাই হচ্ছে বড় প্রমান এদেশে কোন মানবাধিকার নাই। উনি প্রতিহিংসার কারনে আজকে কারাগারে বন্দি। বেগম খালেদা জিয়া নির্দোষ অবিলম্বে আমরা তার মুক্তি চাই।
মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. রফিক আহমেদ, এ্যাড. রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, হাজী ফারুক হোসেন, আয়সা সাত্তার,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, দপ্তর সম্পাদক ইসমাইল মাষ্টার,
আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. আনিছুর রহমান মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক অহিদুল ইসলাম ছক্কু, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মতিউর রহমান মতিন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ আহমেদ, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক বরকত উল্লাহ বুলু, সহ-দপ্তর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম বুলবুল, সহ-প্রচার সম্পাদক মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু,
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, রাজু আহম্মেদ, জাহিদ প্রধান, মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব আলী আজগর, যুগ্ম-আহবায়ক মনির মল্লিক, জামাই মনির, ফজলুল, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর মিয়াজী, ফেরদৌসুর রহমান, শওকত আলী লিটন, আব্দুর রহমান, সৈয়দ হোসেন, হারুন শেখ, মেজবা উদ্দিন স্বপন প্রমূখ।