দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ
নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে বিভাজনের সয়লাব এই অঙ্গনের সর্বস্তরেই বিরাজমান। স্থায়ীভাবে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিন মেরুতে সীমাবদ্ধ থাকলেও। বিএনপির ক্ষেত্রে ঘটছে ঠিক উল্টো।
নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতি এখন দলের উর্ধে থেকে ভাইয়ের রাজনীতিতে অবস্থা হয়ে পড়েছে। আর এটার সীমানা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, তাঁতী দল, কৃষক দল ও ছাত্র দলেও সয়লাব করেছে। এই বিভাজনের ফলে দলীয় কর্মসূচি থেকে শুরু করে আন্দোলন সংগ্রামেও এর প্রভাব পড়েছে বেশ জোরেসোরে।
এদিকে, ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগ স্থানীয়ভাবে ৪ আসনের প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান বলয় ও নাসিক মেয়র আইভী বলয়ের মধ্যে প্রকাশ্যে বিভক্তি দেখা গেলেও সেটা দলের জন্য তেমন ক্ষতির কারন হয়ে উঠেনি।
অপরদিকে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের মধ্যে বিভক্তি সর্ব দিক দিয়েই এগিয়ে রয়েছে। লক্ষ্য করলে দেখা যায়, জেলা ও মহানগর বিএনপি কমিটি ঘোষণার পর থেকেই কয়েক ভাবে টুকরো হয়ে রয়েছে। জেলা বিএনপির ২শ ১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করার পর থেকেই এই বিভাজন সয়লাব করতে শুরু করে বেশ সমালোচনার সাথে।
যার ফলশ্রুতিতে, দলীয় কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির দায়িত্বরত অনেকেই উপস্থিত থাকতে দেখা যায় না। আর মহানগর বিএনপির ক্ষেত্রে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে কমিটির অধিকাংশ নেতার উপস্থিতি থাকলেও। সেখানে সংগঠনটির সহ-সভাপতি এ্যাড. সাখাওয়াত মূলধারার রাজনীতির বাইরে থেকে আলাদা ভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছে।
এদিকে, জেলা যুবদলের মধ্যে থাকা কোন্দল প্রকাশ্যে দেখা না গেলেও, সেই ক্ষেত্রে দিয়ে মহানগর যুবদল এগিয়ে রয়েছে কয়েক ধাপে। দলীয় কর্মসূচি গুলোতে দেখা যায় সেটার প্রমান। মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলমখন্দকার খোরশেদ সহ সংগঠনটির সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা কর্মসূচি পালন করে আসলেও। সেই তুলনায় তাদের পিছনে ফেলে একাই কর্মী বাহিনী নিয়ে কর্মসূচি পালন করছেন সংগঠনটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধান।
তবে সেই দিক দিয়ে অনেকটাই পিছিয়ে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল। সংগঠনটির সভাপতি আবুল কাউছার আশা একাই নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন দাপটিয় কায়দায়। যেখানে দেখা মিলেনা মাদক ব্যবসায়ী বলে অভিযুক্ত সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত রানাকে।
এদিকে, অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের মধ্যে ছাত্র দল, তাঁতী দল, কৃষক দল মূল সংগঠনের বাইরে রাজনীতি করে আসছে বেশ কিছু দিন ধরেই। এই সকল সংগঠনের মধ্যে গুরুত্বপুর্ন পদে থাকা অনেক নেতাই নিজেদের বিভাজনের ফলে একই ব্যানারে একত্রিত হতে দেখা যায়নি কর্মসূচি গুলোতে।
এই সকল সংগঠনের নেতা ও কর্মীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দলের চেয়ে ভাইয়ের রাজনীতিত্বে অবস্থ্য হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে কেউ এ্যাড. তৈমূর আলম খন্দকার, কেউ সাবেক সাংসদ ও মহানগর বিএনপির সভাপতি এ্যাড. আবুল কালাম, কেউ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনির, কেউ এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খাঁন, কেউ সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিনের হয়ে রাজনীতি করে আসছে।
এ বিষয় নারায়ণগঞ্জ বিএনপির তৃণমূলের নেতা ও কর্মীরা বলেন, আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে খ্যাত নারায়ণগঞ্জ এখন ভাইয়ে রাজনীতিত্বে অবস্থ হয়ে পড়েছে। যার ফলশ্রুতিতে, দলীয় কর্মসূচি গুলোতে আন্দোলন সংগ্রামের ফসল ঘরে আনতে পারছে না। এই ধারার পরিবর্তন না করা পর্যন্ত দলীয় কর্মসূচিগুলো দিয়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি দলের জন্য কোন সুফল ভয়ে আনতে পারবে না।