দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ
নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে দলটির ভ্যানগার্ড হিসেবে খ্যাত ছাত্র দল কমিটি ঘোষণার করার পর থেকেই দিয়ে যাচ্ছেন ব্যর্থতার পরিচয়। ২০১৮ সালের ৫ জুন জেলায় ১২ ও মহানগরে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির অনুমোদন দেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
এর কিছু দিনের মধ্যেই ২শ ৩৪ পুর্নাঙ্গ কমিটির অনুমোদন আনার পারদর্শীতার প্রমান দেন মহানগর। কিন্তু নিজেদের মধ্যে থাকা বিভক্তি ও কোন্দলের কারনে জেলা কমিটি ১২ সদস্যর দাগ অতিক্রম করতে পারেনি। যোগ্যতার দিক দিয়ে নারায়ণগঞ্জ ছাত্রদল এখনও রয়েছেন অযোগ্যদের কাতারে।
সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র দলের কমিটি ঘোষণার পর থেকেই সভাপতি মশিাউর রহমান রনি ও সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সজিবের মধ্যে দন্ধের সুত্রপাত হয়। থানা ও পুর্নাঙ্গ কমিটি নিয়ে এই দুই নেতার দন্ধের ফসল স্বরুপ সেটা আর পুর্নাঙ্গ হয়নি। এছাড়াও দলীয় কর্মসূচি গুলোতে রনির উপস্থিতি দেখা গেলেও সেখানে একেবারেই অনুপস্থিত রয়েছেন খাইরুল ইসলাম সজীব।
সুত্র আরও জানায়, জেলা ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সজিব কমিটি ঘোষণার আগে স্বপ্ন দেখতেন তার বাবার নির্বাচনী এলাকা সোনারগাঁ থানা ছাত্রদলের সভাপতি হওয়ার। কিন্তু তার বাবার অর্থের দাপটে জেলা দায়িত্ব পেয়ে মেঘ না চাইতে বৃষ্টি হওয়ার মত অবস্থার সৃষ্টি হয়। শিক্ষাগত যোগ্যতা তেমন একটা না থাকলেও অর্থ আর প্রতিপত্তি অযোগ্য লোকদেরকেও যোগ্যতার আসনে প্রতিষ্ঠিত হতে দেখা যায়।
এদিকে সোনার হরিণ পাওয়া সজিবের অর্থের দাপটে জেলা ছাত্র দলের আংশিক কমিটিতে স্থান পেয়েছে তার বাড়ীর কর্মচারীরাও বলে অনেকে দাবি করেন।
অপরদিকে, সভাপতি মশিউর রহমান রনি অধিকাংশ সময়ই মামলার দোহাই দিয়ে নিজ জেলা ছেড়ে পারি জমান ঢাকায়। তবে দলীয় কর্মসূচি থাকলে নিজ বলয়ের নেতাদের নিয়ে নারায়ণগঞ্জে উপস্থিত হতে দেখা গেছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে। তবে দুই নেতার মধ্যে থাকা দন্ধের কারনে জেলা ছাত্র দলের বয়স বাড়লেও, বাড়েনি এর সংখ্যার দীর্ঘতা।
অন্যদিকে, কৌশল অবলম্বন করে নিজেদের আংশিক ১৫ সদস্য কমিটিকে ২শ’ ৩৪ এ রুপান্তরের পারদর্শীতার প্রমান দেখিয়েছেন মহানগর ছাত্র দল। তবে তাদের সেই দক্ষতার সীমানা এর বাইরে আর অতিক্রম করতে সক্ষম হয়নি। বিএনপির সহযোগী সংগঠন হিসেবে অবস্থান থাকলেও তাদের কার্যক্রমে এর কোন প্রমান দেখা যায়নি। মহানগর ছাত্র দলের সভাপতি সাহেদ আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবুকে অধিকাংশ সময় দলীয় কর্মসূচি গুলোতে অংশ গ্রহন করতে দেখা যায়নি।
এছাড়াও, বিভিন্ন সময় সংগঠনের নেতাদেরকে বিভিন্ন নেতাদের সাথে পৃথক ভাবে কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়। কমিটির বেলায় এই গুণধর নেতাদের কৌশলতায় পারদর্শীতা দেখা গেলেও সাংগঠনিক কর্মকান্ডে হয়েছেন ব্যর্থ।
কারন দলের দুঃসময়ে ছাত্র দলের দায়িত্বে থাকা নেতাদের কাছ থেকে যে দক্ষতা দেখানোর কথা ছিলো তার ছিটে ফোটারও দাগ কাটতে পারেনি তারা। তবে পদ পদবি ভাগিয়ে আনার পর এর ভাব নিতে কারো কাছে যেতে হয়নি তাদের।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্র দলের পক্ষ থেকে দলের প্রয়োজনে যে দক্ষতা ও পারদর্শীতা দেখানোর কথা ছিলো। তা থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন সংগঠনটির দায়িত্বরত কর্তাবাবুরা। এক কথায় বলা চলে যোগ্যতার দিক দিয়ে ছাত্রদল এখনও রয়েছেন অযোগ্যদের কাতারে।