দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ
হোসিয়ারি ব্যবসায়ীকে মাদক দিয়ে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে সদর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এনায়েত করীমকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের নির্দেশে তাকে প্রত্যাহার করা হয়।
এর আগে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ভুক্তভোগী জিকুর পরিবার এনায়েতের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা মামলার বিষয়টি তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে জিুকুর বাবা দাবি করে বলেন, আমার নিরাপরাধ ছেলে জিকু ও অপারেটর শামীমকে নারায়নগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশের এএসআই এনায়েত করিম বিনা অপরাধে গ্রেফতার করে ১২ ডিসেম্বর। এবং পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলে তারা ২লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।
২লক্ষ টাকা বদলি ৩০হাজার টাকা পুলিশ তাদের সোর্স সুমনের মাধ্যমে নেয় এবং আমাদের মোবাইল বন্ধ করে রাখতে বলে। ১৩ ডিসেম্বর পুলিশ আমার ছেলেকে ১০০পুরিয়া হিরোইন দিয়ে আদালতে চালান করে দেয় এবং আমাদের এডভোকেটের সাথে কথা বলতে বলে।
এএসআই এনায়েত করিম আমাদের মত অনেক অসহায় ও নিরাপদ মানুষদের গ্রেফতার করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিনা কারনে আজ আমার ছেলে জেলের ভিতর আছে। তাই আজকের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুলিশ সুপার ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবী করছি এবং পুলিশ এনায়েত করিমকে পুলিশের চাকুরী থেকে বহিষ্কার করা হোক।
জিকুর বাবা আরও বলেন, যেখানে আমার ছেলে একটি সিগারেটও খায়না সেখানে এনায়ের স্যার আমার ছেলেকে ১০০ পুরিয়া হেরোইেন দিয়ে মাদক মামলা দেন। আমার প্রশ্ন তিনি আমার কাছে ২ লাখ টাকা চেয়েছেন।
কিন্তু টাকা না থাকায় আমি আমার স্ত্রী স্বর্নালংকার বন্ধক রেখে তাকে সোসের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা প্রদান করি। দাবীকৃত ২ লাখ টাকা না দেয়াতে তিনি আমার ছেলে এতগুলো হেরোইন দিয়ে মামলা দেন। তাহলে তিনি এতগুলো হেরোইন পেলেন কোথ্থেকে ?