নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ চান নাসিক মেয়র আইভীর বিয়াই ইব্রাহীম মোল্লা।
ভোল পাল্টে শামীম ওসমান বলয়ে জোর তদবির চালাচ্ছেন গম জসিমের শ্যালক ইব্রাহীম মোল্লা।
প্রয়োজনে ১০/২০ লাখ টাকা খরচ করবেন বলছেন ঘনিষ্ঠ জনদের। কোনমতে সভাপতি পদ না পেলে সিনিয়র সহ সভাপতি পদ ভাগিয়ে নিতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ জন্য তিনি মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন,জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোঃ বাদলকে ম্যানেজ করেছেন বলে জানা গেছে।
তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের দাবী ২০০৩ সালে মেয়র আইভীর ভগ্নিপতি জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কাদিরকে ম্যানেজ করে গোগনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পদ বাগিয়ে নেন। আইভীর পক্ষে সভা সমাবেশে যোগদান করতেন।
শামীম ওসমান এমপির কোন সভা সমাবেশে যোগদান না করলেও সভাপতি পদ পেতে সাচ্ছা শামীম ওসমানের কর্মী বনে যাওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।
সুত্রমতে জানা যায়, গম জসিমের আপন শ্যালক ইব্রাহীম মোল্লা। গম জসিমের মেয়ের সাথে আইভির বোন ও আব্দুল কাদিরের ছেলের মিমনের বিয়ে হয়। সে সুত্রে ইব্রাহীম মোল্লা মেয়র আইভীর বিয়াই- বিয়াইন সম্পর্ক। সারা জীবন আইভীর গুনগান গাইলেও সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ পেতে শামীম ওসমান এমপির আর্শীবাদ পেতে রাইফেল ক্লাবে ঘুরঘুর করছেন।
একটি সুত্র হতে জানা যায়, সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক পদে সিলেকশন হয়ে যাওয়ায় এখন সিনিয়র সহ সভাপতি পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইব্রাহীম মোল্লা।
বয়স্ক লোককে সভাপতি নির্বাচিত করায় তিনি বেশীদিন বাচবেননা হিসাব কষে সিনিয়র সহ সভাপতি পদ বাগিয়ে নিতে চান। পরে যেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হতে পারেন। এ জন্য ১০/২০ লাখ টাকা খরচ করতেও রাজি তিনি।
এ ব্যাপারে ইব্রাহীম মোল্লা মুঠোফোনে দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস’কে জানান, মেয়র আইভী আমার বিয়াইন হয়েছে মাত্র কয়েক বছর হলো কিন্তু আমি শামীম ওসমানের রাজনীতি করি অনেক বছর যাবৎ। আমি কখনই আইভীর সাথে রাজনীতি করি নাই। তবে আমি সব সময় নিজেকে প্রচার প্রচারনা থেকে দুরে রেখেছি তাই আপনারা আমাকে দেখেন নাই। তবে আমি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি।
কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ আনতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।