মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাথে একাত্মতা পোষণ করে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানি বলেন, যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি, যেইসব যুদ্ধাপরাধীদের দোসররা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমগুলোকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে ইতিহাস বিকৃত করার পাশাপাশি বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছে।
তাদের দোসররা আবারো আমাদের স্বাধীন দেশের পতাকাকে খামচে ধরার চেষ্টা করছে। এদেরকে আমাদের চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। এটা আমাদের সময়ের দাবী।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ১১ দফা দাবীতে এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রজন্মকে আমরা সুপারম্যান আর স্পাইডারম্যানের গল্প শোনাই কিন্তু আমাদের যে আসল হিরো আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প শোনাই না। তাদের গল্প আমাদের বর্তমান প্রজন্মকে শোনাতে হবে , প্রতিটি ঘরে ঘরে মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প আমরা পৌছে দিতে চাই এবং আমরা সেই মুক্তিযোদ্ধাদের মত সুপারম্যান হতে চাই।
জাতির জনকের আদর্শের নেতৃত্বে এ প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা হয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের অসমাপ্ত যুদ্ধে জয়ী হয়ে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।
তাদের ১১ দফা দাবী গুলো হল (১) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল করতে হবে এবং কমিশন গঠন করে কোটার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে
(২) বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে(৩)১ লা ডিসেম্বর কে জাতীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি ও সরকারি ছুটি ঘোষণা করতে হবে (৪) দুর্নীতিবাজ মাদক ব্যবসায়ী শেয়ার বাজার লুটকারী ঋণখেলাপীরা রাষ্ট্রের শত্রু এদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে(৫) যুদ্ধাপরাধী ও তাদের বংশধরদের উপজেলা ভিওিক তালিকা দ্রুত প্রণয়ন করতে হবে
(৬) যুদ্ধাপরাধীও তাদের বংশধররা যারা সরকারি চাকুরীতে বহাল আছে তাদের বরখাস্ত করতে হবে (৭) যুদ্ধাপরাধী স্বাধীনতা বিরোধী ও তাদের বংশধরদের সকল স্থাবর – অস্থাবর সম্পত্তি ও পরিচালিত প্রতিষ্ঠান সমূহ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে হবে
(৮)বিভিন্ন গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকারী এবং বঙ্গবন্ধু,মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটাক্ষকরীদের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের হলোকাস্ট অ্যাক্ট বা জেনোসাইড ডিনাইয়াল ল’ এর আদলে আইন করে রাষ্ট্রদোহী হিসেবে বিচার করতে হবে (৯) কোটা সংস্কার আন্দোলনে উস্কানিকতা ও গুজব সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে বিচার করতে হবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে বিদেশী অনুদানে রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে(১০) তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দ্রুত প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যের বাসভবনে হামলাকরীদের চিহ্নিত করে আইনেরও আওতায় এনে দ্রুত বিচার করতে হবে(১১) বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ ও পেইজে বঙ্গবন্ধু,মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তিকারীদের এবং এসব গ্রুপ ও পেইজের এডমিন ও মডারেটরদের চিহ্নিত করে বিচার করতে হবে।
এ সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাএলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নিশান ক্বাফি, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান নান্নু,সাবেক প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান সজিব,সাবেক যুগ্ন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রায়হান,
ডব্লিউ এ টি ও সভাপতি ফাহিম এমিল,আহম্মেদ রিদয়,নারায়ণগঞ্জ মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুল আলম রকি,নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ সভাপতি সৈয়দ রনি আলম,সাংগঠনিক সম্পাদক আল মামুন কায়সার, মহানগর সভাপতি সৈকত বাপ্পী,সাধারন সম্পাদক আরিফ হোসেন ঢালী সহ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের অসংখ্য নেতৃবৃন্দ।