জামাই আদরে কোর্টে পাঠানোর অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে
নগরীর লুৎফা টাওয়ারের মালিকের ছেলে লুৎফর রহমান সুমনকে জামাই আদরে থানার ভেতরে রাখা এবং পুলিশের গাড়ির পরিবর্তে সুমনের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে আদালতে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামানএর বিরুদ্ধে।
শনিবার সন্ধ্যায় ২৭/০৮/০৭ সালের বিশেষ ট্রাইবুনাল ৮৫/৯ ধারায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন ২০০১ ও ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৫ (২) মামলার ওয়ারেন্টকৃত আসামী লুৎফর রহমান সুমনকে গ্রেফতার করে সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক মো.শাহাদাত হোসেন।
সুমনকে আটকের পর গনমাধ্যম কর্মীদের ভীড় দেখা দেয় থানার অভ্যন্তরে। থানায় আটক সুমনের ছবি না তুলতে এবং সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য বিশেষ পেশার এক ব্যক্তি ( সুমনের আস্থাভাজন ) প্রায় ৫০ হাজার টাকা বিতরন করেন।
সুত্রে জানা যায়, আসামী সুমনকে থানার ভেতরে গারদ ঘরে না রেখে জামাই আদরের জন্য অফিসার ইনচার্জকে ৫০ হাজার উপটৌকন দেয়া হয় সুমনের নিকট ব্যক্তির পক্ষ থেকে। শনিবার মাগরীব আজানের সময় শহরের ২ নং রেলগেইট এলাকায় পুলিশ বক্সের সামনে একটি সাদা খামের ভেতরে ওসির জন্য এ উপহারটি পাঠানো হয়। সে সময় উক্তস্থানে গোয়েন্দা পুলিশের অনেক সদস্য উপস্থিত ছিলেন বলেও জানায় সুত্রটি।
অপরদিকে সারারাত আসামী সুমনকে গারদ ঘরের পরিবর্তে বাহিরে জামাই আদরে রাখার সুবন্ধ্যোবস্ত করা হয় থানার পক্ষ থেকে। শুধু তাই নয় রবিবার সকাল প্রায় সাড়ে ৮টায় থানা পুলিশের কোন গাড়িতে নয় সুমনের ব্যবহৃত গাড়িতে করেই সুমনকে আদালতে পাঠান অফিসার ইনচার্জ মো.আসাদুজ্জামান।
সুমনের পক্ষালম্বন করতে লুৎফা টাওয়ারের গলির ভেতরে বসা হকাররাও সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরন করেন এবং আদালত পর্যন্ত সেই হকারদের যেতে সুমন একটি গাড়িরও ব্যবস্থা করে দেন।
এদিকে রবিবার দুপুরে আদালতের গারদ ঘর আসামী সুমনের ছবি গনমাধ্যমকর্মীরা তুলতে গেলে সুমন চাদর দিয়ে নিজের মুখমন্ডল ঢেকে রাখেন এবং আগেরদিন রাতে টাকা ছিটানোর মুল হোতা বিশেষ পেশার সেই কর্তাবাবু সাংবাদিকদের গালমন্দ করেন।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আপনার অভিযোগগুলো সত্য নয়। সুমনকে পুলিশের গাড়িতে করেই আদালতে নেয়া হয়েছে।