দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ
কোন ভাবেই দমানো যাচ্ছেনা নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক মো.এনায়েত করিমের অপকর্ম। টাকার নেশায় বিভোর হয়ে প্রতিদিনই কোন না কোন নিরপরাদ ব্যক্তিকে সোর্সের মাধ্যমে আটক করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অপকৌশল অবলম্বন করছে আর টাকা না পেলে নিরীহরা হয় মাদকসহ বিভিন্ন মামলার আসামী।
তেমনী নিরাপরাধ হোসিয়ারী ব্যবসায়ী জিকুকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর প্রতিবাদে নারায়নগঞ্জ সদর মডেল থানার চৌকস সামারীবাজ এএসআই এনায়েত করিমের বিরুদ্ধে বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় নারায়নগঞ্জ প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনটি করে জিকুর পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে জিকুর বাবা বলেন,আমার নিরাপরাধ ছেলে জিকু ও অপারেটর শামীমকে নারায়নগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশের এএসআই এনায়েত করিম বিনা অপরাধে গ্রেফতার করে ১২ ডিসেম্বর। এবং পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলে তারা ২লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। ২লক্ষ টাকা বদলি ৩০হাজার টাকা পুলিশ তাদের সোর্স সুমনের মাধ্যমে নেয় এবং আমাদের মোবাইল বন্ধ করে রাখতে বলে। ১৩ ডিসেম্বর পুলিশ আমার ছেলেকে ১০০পুরিয়া হিরোইন দিয়ে আদালতে চালান করে দেয় এবং আমাদের এডভোকেটের সাথে কথা বলতে বলে।
এএসআই এনায়েত করিম আমাদের মত অনেক অসহায় ও নিরাপদ মানুষদের গ্রেফতার করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিনা কারনে আজ আমার ছেলে জেলের ভিতর আছে। তাই আজকের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুলিশ সুপার ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবী করছি এবং পুলিশ এনায়েত করিমকে পুলিশের চাকুরী থেকে বহিষ্কার করা হোক।
জিকুর বাবা বলেন,যেখানে আমার ছেলে একটি সিগারেটও খায়না সেখানে এনায়ের স্যার আমার ছেলেকে ১০০ পুরিয়া হেরোইেন দিয়ে মাদক মামলা দেন। আমার প্রশ্ন তিনি আমার কাছে ২ লাখ টাকা চেয়েছেন। কিন্তু টাকা না থাকায় আমি আমার স্ত্রী স্বর্নালংকার বন্ধক রেখে তাকে সোসের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা প্রদান করি। দাবীকৃত ২ লাখ টাকা না দেয়াতে তিনি আমার ছেলে এতগুলো হেরোইন দিয়ে মামলা দেন। তাহলে তিনি এতগুলো হেরোইন পেলেন কোথ্থেকে ?
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলো জিকুর মা সুলতানা বেগম, জিকুর ছোট ভাই জামিল আহমেদ রিকু,ভাতিজি অন্তরা আক্তার ও ইসমাইল হোসেন কাজল।
উল্লেখ্য যে,১২ ডিসেম্বর নাসিক ১৮নং ওয়ার্ডের শহীদ নগর থেকে হোসিয়ারী ব্যবসায়ী মোঃজিকু(২৯)ও অপারেটর মোঃশামীম(৪৫)কে নারায়নগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশের উপ- পরিদর্শক এনায়েত করিম গ্রেফতার করে এবং ১৩ডিসেম্বর ১০০পুড়িয়া হিরোইন দিয়ে আদালতে প্রেরন করে পুলিশ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সদর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক মো.এনায়েত করিমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি প্রমান করতে বলেন।