দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদী তীরের বিআইডব্লিউটিএ’র ওয়াকওয়ে ভেঙ্গে ও দখল করে ইট-বালু,কয়লাসহ বিভিন্ন মালামাল রেখে ব্যবসা করছে অনেক ব্যবসায়ী। সাধারন মানুষের হাটা-চলাচলের জন্য গড়া সেই সেই ওয়াকওয়েগুলো নেই বললেই চলে ফতুল্লা,দাপা,আলীগঞ্জসহ আশপাশ এলাকায়।
সুত্র জানায়, ফতুল্লার গরুর হাটের পাশে- মোসার্স বাবুল কনষ্ট্রাকশন ও আবু মো: শরিফুল হকের দাপা বাবুর ঘাট – হোসেন মিয়ার বালুর ঘাট ও রুপ চাঁন বেপারী এবং লতিফ বেপারী দাপা মসজিদ- লতিফ মহাজনের ঘাট দাপা মসজিদ-মোল্লা সল্ট লবনের মালিকপক্ষ নদীরপাড়ে গড়া ওয়াকওয়ে গুলো ভেঙ্গে এবং বুড়িগঙ্গা নদীর ভেতরে প্রবেশ করে প্রায় ৪০-৫০ফুট দখল করে তারা ব্যবসা পরিচালনা করছে।
এ সকল জায়গায় বিআইডব্লিউটিএ কয়েকবার অভিযান চালালেও তার ২/১ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরে পুনরায় আবার ব্যবসা চালু করেন সুবিধাবাদী নদীখেকো ব্যবসায়ীরা।
এর আগে ৩/৪ মাস পুর্বে রাজউকের একটি দল ফতুল্লা গরুর হাটের উল্টো পাশে বালুঘাটসহ আশপাশে অভিযান চালিয়ে তার জমিগুলো দখলমুক্ত করলেও কয়েকদিন না যেতেই দখলকারীরা আবারও সেস্থান দখল করে নিবিঘেœ বালুসহ অন্যান্য ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। সূত্র আরও জানায় , উক্ত ব্যবসায়ী রাজউকের কাছে অনুমতি নিয়েছেন এমন একটি বিশাল আকৃতির সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রেখেছেন।
এ বিষয় এক ব্যবসায়ী তিনি জানান,আমরা রাজউকের কাছ থেকে লিজ নিয়েছি কিন্তু তারা লিজের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। অপরদিকে দাপা বালুঘাট এলাকার আশপাশে দাপা বাবুর ঘাট-হোসেন মিয়ার বালুর ঘাট ও রুপ চাঁন বেপারী এবং লতিফ বেপারী দাপা মসজিদ-লতিফ মহাজনের ঘাট দাপা মসজিদ-মোল্লা সল্ট লবন কর্তৃপক্ষও নদীর পাশে গড়া ওয়াকওয়ে ভেঙ্গে এবং নদীর ভেতরে প্রায় ৪০/৫০ ফুট প্রবেশ করে সেখানে ভরাট করে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
দাপা মসজিদ- লতিফ মহাজনের ঘাট এলাকায় ওয়াকওয়ে ভেঙ্গে সেখানে স্থায়ীভাবে ক্রেনের মাধ্যমে জাহাজ থেকে মালামাল লোড-আনলোড করছেন। এবং নদীর ভেতরে প্রায় ৫০ ফুট বেদখল করে ভরাটও করেছেন।দাপা মসজিদ-মোল্লা সল্ট লবন কর্তৃপক্ষও ওয়াকওয়ে ভেঙ্গে এবং নদীর ভেতরে প্রবেশ করে বালু ভরাটের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
মোল্লা সল্টের দায়িত্বরত ম্যানেজার দাবী করে বলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র কাছ থেকে লীজ নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
কিন্তু তার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেনি।
এ বুড়িগঙ্গা নদী ও তীরবর্তী এলাকা বাচাঁতে এবং দখলকারীদের কাছ থেকে সুরক্ষা পেতে আবারও বিআইডব্লিউটিএ’র অভিযান জরুরী বলে জানান স্থানীয়রা।