দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ এক সময়ে রাজপথ কাপানো বিএনপি’র ভ্যানগার্ড হিসেবে খ্যাত ছাত্রদলের ভবিষ্যত্ব অনেকটাই অনিশ্চয়তার দিকে অতিবাহিত হচ্ছে। সম্মেলন ও তৃনমূল্যের সাথে আলাপ আলোচনা ছাড়াই কেন্দ্রীয় নেতাদের পকেটে মাল পরলেই অদক্ষ ও অযোগ্যদের হাতে কমিটির দায়িত্ব চলে আসায় এই পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে বলে দাবী সংগঠনের তৃনমূলের। কারন যোগ্য ও সাংগঠনিক ব্যক্তিদের হাতে সাংগঠনের দায়িত্ব অর্পিত হলে নতুন নেতৃত্ব বিকাশে অনেকটাই সহযোগীতা পাওয়া যায়। যার নজির ১৯৯১ সালের ছাত্র দলের কমিটি যেটাকে ছাত্রদলের স্বর্ণযুগ বলা হয়।
এ বিষয় সাবেক ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দাবী করে বলেন, ১৯৯১ সালে সভাপতি মোবারক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু’র নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদলের স্বর্ণযুগ ছিলো আর সেই সময় যারা ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন। তাদের সাংগঠনিক দক্ষতায় নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি যখন জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক পরবর্তীতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
তৎকালীন সময় থেকেই তার দক্ষতার ফসল স্বরুপ বর্তমান আমরা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ত্যাগী নেতৃত্বর সুফল পাচ্ছি। তিনি দায়িত্ব পালন কালে জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের ছাত্রদের খুজে বের করে নেতৃত্ব বিকাশে সহযোগীতা করেছেন। তাদের নেতৃত্বে গড়া ছাত্রদলের নেতারা হলো বর্তমান জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, জেলা যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মুকুল, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক শাহফতে রেজা রিপন, সায়েম, মাহবুব হোসেন,
মহানগর বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজল, দেলোয়ার হোসেন খোকন, জেলা বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক সরকার আলম, মনোয়ার হোসেন শোখন, মনোয়ার হোসেন মন্টি, দেলোয়ার হোসেন খোকন, মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, নাজমুল হক রানা, আবু মন্সুর আব্দুল হালিম, মোস্তাফিজুর রহমান পাবেল, খন্দকার আক্তার হোসেন, লোকমান হোসেন, সেলিম হাসান দিলিপ, মোস্তাক আহম্মেদ, আকতার হোসেন, ফারুক আহম্মেদ রিপন, রাশেদুর রহমান রশু, শওকত হোসেন মোল্লা, সেফা সৃষ্টি, দোলোয়ার হোসেন খোকন, শরীফ হোসেন, ইকবাল হোসেন, শরীফ মোল্লা, সৈয়দ আকসির, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, খন্দকার আক্তার হোসেন,
আশরাফুল হক রিপন, এড. আমিনুল ইসলাম ইমন, রিপন জাফর, জেলা কৃষক দলের শরীফ মোল্লা, মহিউদ্দিন শিশির, রহিমা শরিফ মায়া, দিলারা মাসুদ ময়না যারা নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে বর্তমান লড়াকু সৈনিকের ভূমিকা পালন করে আসছেন। এছাড়াও তৎকালীন সময় বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেছেন যারা এখনও রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহন করে আসছেন।
তাদের দায়িত্ব শেষে জাকির খান, মোশারফ হোসেন, জাহিদ হাসান রোজেল ও মাসুকুল ইসলাম রাজীব জেলা ছাত্রদলের দায়িত্ব পালন করে আসলেও তৎকালীন সময় তেমন কোন নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে পারেননি। সেই সাথে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটি দিতেও ব্যর্থ হয়েছেন। যারাফল সূতিতে আগামীতে দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এবিষয় বর্তমান জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের তৃনমূল দাবী করে বলেন, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সম্মেলনের মাধ্যমেই নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হওয়ার কথা কিন্তু টাকা আর লবিং এর কাছে সেই কমিটি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে যোগ্য নেতৃত্বকে অবমাননা করা হচ্ছে। আর অযোগ্য ব্যক্তিদের হাতে সাংগঠনিক দায়িত্ব চলে যাওয়ায় নেতৃত্ব বিকাশে প্রধান বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। আগামী দিনে দল পরিচালনার ক্ষেত্রে এর প্রভাব পরবে এবং প্রকৃত নেতৃত্ব খুজে পাওয়া প্রধান সমস্যায় পরিনত হবে।