দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ইউনিট কমান্ডের আয়োজনে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময় জেলা প্রশাসক মোঃজসিম উদ্দীন বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জ জেলায় আসার পর প্রথমে ফতুল্লা পাইলট স্কুল ও হরিহরপাড়া একটি স্কুলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অনুষ্ঠানে যাই। সেখানে গিয়ে আমি খুবি হতাশ হই কারন আমাদের প্রজন্ম ও বর্তমান প্রজন্ম শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অজ্ঞ। তাই আমি সিদ্ধান্ত নেই মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে একটি বই বের করবো এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কথা বলে আমি আমার সরকারি কর্মকর্তাদের সহায়তায় একটি বই ৪০হাজার কপি বের করি।
প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী এবং সচিবদের কাছে পাঠাই সেই সাথে স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝেও বিতরন করি। আমার লক্ষ্য আমার বইটি প্রতিটা কমান্ডারের কাছে থাকবে।আমি নারায়ণগঞ্জ জেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি নাতনীদের পড়ালেখা করা জন্য একটি ফান্ড তৈরি করতে চাই।যে ফান্ডের টাকা দিয়ে তারা পড়ালেখা করবে এবং মুক্তিযোদ্ধার যে সকল সন্তানরা বিসিএস দিবে তাদেরও দেওয়া হবে।এই ফান্ডটির তত্ত্বাবধানে থাকবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ড বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী বলেন, আজ ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন পাকিস্তানের কারাগার থেকেই।তাই প্রতিবছর যথাযথভাবে মর্যাদায় এই দিনটি পালন করা হয়।
ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসটি সফল করার লক্ষ্যে আজকে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
আলোচনা সভা শেষে নিহিত ও জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দোয়া কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
নারায়নগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সন্তান কমান্ডের সভাপতি শরীফ উদ্দীন সবুজের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়নগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হাই, আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা নূর উদ্দীন, নারায়নগঞ্জ পুলিশ সুপার মোঃ জায়েদুল আলম,ন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারন (প্রশাসন) মোঃ মনিরুল ইসলাম, সাবেক জেলা কমান্ডার আমিনুর রহমান, সামিউল্লাহ মিলন,
নারায়ণগঞ্জ জেলা ডিপুটি কমান্ডার এড.নুরুল হুদা,নারায়ণগঞ্জ জেলা যুদ্ধকালীন কমান্ডার আব্দুর সাত্তার, নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলা কমান্ডার শাহজাহান ভূইয়া জুলহাস, সোনারগাঁ ডিপুটি কমান্ডার ওসমান গনি, বন্দর উপজেলা কমান্ডার আব্দুল লুতিফ, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, বীরমুক্তিযোদ্ধা ফরিদা, নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সন্তান কমান্ডের সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিঃরাজিব, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল প্রমূখ।