দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেছেন, নারী ক্ষমতায়নের সবচেয়ে বড় জায়গা হলো তার আর্থিক সক্ষমতা। এর ফলেই নারী তার নিজ মত প্রকাশ করতে পারেন। পরশ্রী, পরনিন্দা বাদ দিয়ে নিজে কাজ করতে হবে এবং অন্যদেরও উৎসাহিত করতে হবে। একটা মেয়ের একটা ছেলের যদি উৎসাহ পায় তারা অনেক ভাল কিছু হয়ে যাবে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় আমন্ত্রণ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, হয়ত সে একজন বড় রাজনীতিবিদ বা সে এজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে যাবে। এদেশে আইসিটি উন্নয়নের ফলে সকলের হাতে হাতে মোবাইল পৌঁছে গেছে। জাফর ইকবালের কথা ধরে বলতে হয়, এখন যেমন আমরা বলছে মাদকের হাত থেকে বাঁচুন। তেমনি মোবাইল ব্যবহার করতে করতে যাতে ফেইসবুকের হাত থেকে বাঁচুন এমন স্লোগানে উপনীত আমাদের না হতে হয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে পরকীয়ার অন্যতম মাধ্যম ফেসবুক। সংসার যায় আর লাগে ফেসবুকে। মেয়েরা যারা এখানে ট্রেনিং করলা তারা এ ট্রেনিংয়ের ভালো দিকটি গ্রহণ করতে হবে।
বিয়ের পর যাতে স্বামী না মনে করে এ কেমন আইটি এক্সপার্ট বিয়ে করলাম এ তো কয়দিন পর থাকবে না, সে ভয়টা যাতে না থাকে। কারণ এ তো সারাদিন ফেসবুকে পড়ে থাকে।
তিনি বলেন, এই শহরে আমরা নতুন একটি টেকনিক্যাল কলেজ করতেছি। সারা বিশ্বে মানবসম্পদের অনেক চাহিদা।
কিন্তু যখন আমি মালয়েশিয়া ও সৌদি আরবে রাস্তার পাশে ঝাড়ু নিয়ে দাড়িয়ে থাকা কোন বাঙালি ভাইকে দেখি আমার অনেক কষ্ট লাগে। সে জায়গা থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে। পাবনার দুই সন্তান আছে যারা নাসার বিজ্ঞানী। দেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে এ নারায়ণগঞ্জ। আমাদের অনেক পরিকল্পনা আছে।
একটা প্লাম্বার খুজতে গেলে জীবন শেষ। ফ্রিজের মেকানিক খুজতে মাংস নষ্ট হচ্ছে৷ বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় হোটেলে আমার এক্সপার্ট যেতে পারছে না। কারণ অন্যদেশের এক্সপার্ট ৫ মিনিটের মধ্যে কাজ করে দেয়। আর বাংলাদেশের একজনকে দিলে ১০ মিনিট লাগে। তাহলে তারা আমাদের থেকে লোক কেন নিবে। সে জায়গা থেকে আইটি
সেক্টর কিংবা টেকনিক্যাল সেক্টরে এক্সপার্ট তৈরি করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী অনেক কাজ করছে কিন্তু রুট লেভেল যেতে পারছি না। আমরা দেখা যায় অনার্সে পড়াশোনা করে ডিসি অফিসে পিয়ন নিয়োগের সময় গিয়ে অনার্স পাস মাস্টার্স পাস পড়ুয়ারা আবেদন করে। সেটি আমরা না করে আমাদের এক্সপার্ট তৈরির জায়গাগুলো করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে সরকার যখন ডিজিটাল প্রস্তাবনা নিয়ে আসে তখন অনেকেই তা ভালো চোখে নেয়নি। আবার অনেকে বলেছেন এটা বাস্তবায়ন হবে না।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। আইটি কোর্স করে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে উপার্জন করা যায়।
ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির প্রধান আহমেদ তানভীর আনামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বেদৌরা বিনতে হাবীব, ইনোভেস্ট টেকনোলজির প্রধান মিনহাজ খান, ব্র্যাকের জেলা সমন্বয়কারী হুমায়ূন কবির, ব্র্যাকের আইটি সেন্টার নারায়নগঞ্জ শাখার প্রধান আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।