দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে শেষ মুহুর্তে নাটকীয় অধ্যায়য়ের জন্ম দিলেন বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী ঐক্য পরিষদ। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে ভোট গ্রহনের এক দিনে পুর্বেই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন বর্জন করলো পুরো প্যানেল। তবে তাদের এই নির্বাচন বর্জন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা সমালোচনার কমতি নেই।
এদিকে, নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করে বিএনপির সমর্থিত প্যানেলের নেতৃবৃন্দরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন বেশ জোড়ে সোড়ে। সেই সাথে নতুন করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা, নির্বাচন কমিশনের পরির্বতন, সংবিধান অনুসারে নির্বাচন পরিচালনার দাবিও জানান তারা।
তবে তাদের এই দাবীর বিষয় নিয়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কয়েক জন আইনজীবীরা বলেন।
মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. জাকির হোসেন বলেন, জাতীয়তাবাদী ঐক্য পরিষদ যা করেছেন আমি তাদের সমর্থন করি। কারন বিএনপি একটি বৃহত দল আর জাতীয়তাবাদী ঐক্য পরিষদ এই দলটির একটি অংশ। এই প্যানেলের কোন প্রার্থী কখনই নির্বাচন করতে ভয় পায় না। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এখনও পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেনি। ক্ষমতাশীনদের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনার দিয়ে কখনই সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব না।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পুর্বে এ জি এম এর মধ্যে নির্বাচনী ভেন্যু পাশ করা হলো নির্মাণাধীন আইনজীবী সমিতির ভবনের নিচ তলায়। কিন্তু ক্ষমতাশীনদের ভোট কারচুপির সুবিধার্থে সেই কারো সাথে আলোচনা না করেই ৩য় তলায় দেয়া হয়েছে। যা নির্বাচনের সংবিধান লংঘনের সামিল।
এছাড়াও আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু করার উদ্দেশ্যে ৩ জন সিনিয়র আইনজীবীদের নাম লিখিত ভাবে প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু তারা সেটাও গ্রহন করে নাই।
আওয়ামী আইনজীবীদের মধ্যে প্রকাশ্যে দন্ধ দেখা গেছে যার প্রমান একই দলের ২টি প্যানেল নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছিলো। তাদের দলের আইনজীবীরাই তাদের প্যানেলকে ভোট দিবে না। তাই জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের মত নীল নকশা বাস্তবায়নের জন্য এইখানেও তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করছে।
তাই বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী ঐক্য পরিষদ নির্বাচন বর্জনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা ১০০% সঠিক এবং সময় উপযোগী।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আব্দুল হামিদ ভাষানী বলেন, ছলনা ও ছলচাতুরির একটা সীমা আছে সেটা যখন অতিক্রম করে ঐ মানুষ সমাজে টিকে থাকতে পারে না। জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে পেশাজীবী নির্বাচনেও নীল নকশা প্রনয়নের অবস্থা হয়ে পরেছে। সেই সাথে সরকারের যত গুলো এজেন্সী আছে সেটার ৮০/৯০% এই নীল নকশার সাথে জড়িত। এবারের আইনজীবী সমিতির নির্বাচন সুষ্ঠু ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আমরা অনেক এজেন্সীর দ্বারপ্রান্ত হয়েছি। তারা আমাদের এক কথা বলে আর ক্ষমতাশীনদের সমর্থিত আইনজীবীদের এক কথা বলে। তবে তাদের সাথে যে কথা বলে সেটাই সত্য।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ২০২০/২০২১ সালের নির্বাচন আদালত পাড়ায় একটি কলঙ্কর অধ্যায় রচিত হলো।