দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ ফতুল্লা মডেল থানায় গ্রেপ্তারকৃত আসামী আনিসুর রহমান শ্যামল ওরফে দর্জি শ্যামলকে আদালতে নেওয়ার সময় সাংবাদিকরা ছবি তুলার সময় বাধা ও হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারী) রাতে সাংবাদিক রাকিব চৌধুরী শিশির বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫/২০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। ঘটনার সময় দুপুরেই লিটন নামে একজনকে আটক করে পুলিশ।
এরআগে বিচারের নামে আসামীকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করাসহ ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে যুবলীগ নেতা শ্যামলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই সঙ্গে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি তুর্জকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে জেলার ফতুল্লা থানার কাশিপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে শ্যামলসহ ধর্ষক তুর্জকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় দুইজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তার তুর্জ কাশিপুর এলাকার মৃত মনির হোসেনের ছেলে ও যুবলীগ নেতা শ্যামল একই এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওই ছাত্রীর মা জানিয়েছেন, তার মেয়ে প্রতিদিন বিকালে একটি বাড়িতে আরবি পড়তে যায়। এই সুবাদে প্রায় সময় এলাকার তুর্জ নামে একজন বখাটে তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করা শুরু করে। একপর্যায়ে মেয়েটি পরিবারকে বিষয়টি অবহিত করলে তারা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শ্যামলকে ঘটনাটি জানান। এ সময় উল্টো তাদের হুমকি দেওয়া হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, শ্যামলের কাছে উত্ত্যক্তের অভিযোগ করায় পর তুর্জ তার মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে গত ১৯ জানুয়ারি তার মেয়ে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় তুর্জসহ বেশ কয়েকজন তাকে তুলে নিয়ে একটি বাড়িতে আটক রাখে। এরপর তুর্জ জোরপূর্বক তার মেয়েকে ধর্ষণ করে।
এ দিকে শ্যামল ধর্ষণের বিষয়টি জানার পর বিচার-সালিশের নামে তুর্জকে নিজের অফিসে ডেকে আনেন। পরে তুর্জকে তার অফিস থেকে পালাতে সাহায্য করে শ্যামল।
অপরদিকে মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তার শ্যামলের ছবি তোলার জন্য সংবাদকর্মীরা ফতুল্লা মডেল থানায় অবস্থান করলে তার লোকজন সংবাদকর্মীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে মারধরসহ ক্যামেরা ভাংচুর করে। তবে ধর্ষণ মামলার আসামিকে থানা থেকে আদালতে পাঠাতে আসামিপক্ষের লোকদের পাঠানো গাড়ি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন বলেন, এঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সময় লিটন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । তাকে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।