দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ
সিদ্ধিরগঞ্জের শিশু জিদান হাসান হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে আদালতে।
রোববার (৫জানুয়ারি) দুপুরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ‘ক’ আদালতে শিশু জিদান হাসান অপমৃত্যুর মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে রুজু করে ৩জনকে আসামী করে হয়েছে।
হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দিগ্ধ আসামীরা হলো সিদ্ধিরগঞ্জ চৌধুরী বাড়ী এলাকার মো. শাহীন মিয়ার ছেলে মো. সাব্বির হোসেন (১৬), পাইনাদী মিজমিজি এলাকার জহুরুল ইসলামরে ছেলে মো. ইয়াছিন (১৬), চৌধুরী বাড়ী বন্ধু সিনেমা হল বাসিন্দা মজিবুর রহমানের ছেলে মো. রাহাত হোসেন (১৫)।
আসামীরা জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত আসামীদের জামিন না মঞ্জুর করে গাজীপুর কিশোর শোধনাগারে প্রেরণ নির্দেশ প্রদান করে।
এর আগে নিহত শিশু জিদান হাসান তন্ময় এর মা নারায়ণগঞ্জের নব নিযুক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম (পিপিএম-বার) এর নিকট একটি অভিযোগ দায়ে করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন আসামী রতন, রাহাত হোসেন, সাব্বির হোসেন, ইয়াছিন, মো. মাইনুদ্দিনরা মিলে তার ছেলে তন্ময়কে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে এবং হত্যাকান্ডের ঘটনায় গত ২৭ ডিসেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করতে গেলে থানার কর্মকর্তা আসামীদের অবৈধভাবে প্রভাতি হয়ে হত্যা মামলা না নিয়ে অপমৃত্যু মামলা করে।
নিহতের মা হোসনে আরা বেগম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ আমার ছেলে হত্যা মামলা নিতে আগ্রহী ছিলো না তাই আদালতের সরনাপন্ন হলে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে একটি হত্যা মামলা হিসেবে রুজু করে। আমার এক মাত্র ছেলেকে পরিকল্পিতি ভাবে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।
উল্লেখ্য সিদ্ধিরগঞ্জে জিদান হোসেন তন্ময় নামে এক কিশোরকে তারই বন্ধু রতন ২৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর পরে রাতে আর বাসায় ফিরেনি তম্ময়। পরদিন শুক্রবার সকালে রতনসহ আরো দুইবন্ধু তম্ময়ের লাশ নিয়ে তার বাবার কাছে বুঝিয়ে দিয়ে বলে বিদুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গছে।
শুক্রবার ভোরে থানার কদমতলী মাদানীবাগ এলাকার শাহাজাহানের বাড়ির পার্শ্বে চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবারের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। অপর দিকে পুলিশ এ মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি ইউডি মামলা রুজু করেন। তবে হত্যা মামলা না নিলেও এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে রতনসহ সাব্বির ও ইয়াছিন নামে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।