দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম:
বিএনপির অন্যতম সংগঠন ছাত্র দলের ৪১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নারায়ণগঞ্জে দায়িত্বরতদের গা ছাড়া কর্মসূচির অভিযোগ উঠে আসছে। মৌখিক ভাবে মিলাদ, কেক কাঁটা ও শীতবস্ত্র বিতরনের সাফাই গাইলেও বাস্তবে এর কর্যক্রম কতটুকু হয়েছে তা নিয়ে রয়েছে নানা জল্পনা কল্পনা।
তবে নারায়ণগঞ্জ ছাত্র দলে অযোগ্য ও আওয়ামী ঘরের সন্তানদের হাতে দায়িত্ব পরায় বিলিন হতে শুরু করেছে সংগঠনটির কার্যক্রম বলে তৃন মূলে অভিযোগ রয়েছে।
লক্ষ্য করে দেখা যায়, জেলা ছাত্র দলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি কমিটিতে গুরুত্বপুর্ন পদ পাওয়ার পর থেকে মামলার দোহাই দিয়ে ঢাকায় পাড়ি জমিয়েছেন। তবে দলীয় কর্মসূচি গুলোতে গুটি কয়েক কর্মী নিয়ে সভাসমাবেশে উপস্থিতির তালিকায় নিজেকে আবদ্ধ করেন। জেলা ছাত্র দলের যুগ্ম-আহবায়ক থাকা কালিন নিজের অবস্থান কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের কাছে তুলে ধরতেই থাকতেন ঢাকায়।
এদিকে সংগঠনটির তৃনমূল্যে অভিযোগে জানাযায়, মশিউর রহমান রনি তার নিজ জেলায় রাজনীতি থেকে ধুরে আছেন পরিবার তন্ত্রের রাজনীতির কারনে। রাজপথে যাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে তারা সবাই রনির ঘরের লোক। কারন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাফেল প্রধান ও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ তার চাচাতো ভাই।
সেই সাথে তার এলাকার আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান প্রধান তার আপন মামা। যারফল তিতে নিজেদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার চেয়ে ঢাকায় অবস্থান পাকাপোক্ত করাটাই সুবিধা জনক হয় রাজনৈতিক দিক দিয়ে।
ধারনা করা হচ্ছে এ কারনেই নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী সাংসদকে চ্যালেঞ্জ করেও মামা ও ভাইদের কারনে সুবিধা জনক অবস্থানে রনি।
অপরদিকে, জেলা ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সজিব নিজের সংগঠন গুছানোর চাইতে বাবা আজহারুল ইসলাম মান্নানের নির্বাচনী এলাকা গুছাবে বেশ সাছন্দ্যবোধ করেন। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের চেয়ে ঢাকায় বাবার ব্যবসা দেখা শুনা করে আছেন বেশ দিব্বি আরামে।
এছাড়াও, মশিউর রহমান রনির সাথে তার ব্যক্তিগত দন্ধের কারনে সংগঠন গুছানো থেকে শুরু করে রাজনীতিকে সাময়িক ভাবে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন কায়দায়। যার ফলশূতিতে রনির পরিবারতন্ত্র ও সজিবের সাথে থাকা দন্ধে জেলা ছাত্র দল পুর্নাঙ্গ না হওয়ার পাশাপাশি বিলপ্তি হচ্ছে সংগঠনটির রাজনীতি।
এদিকে, মহানগর ছাত্র দলের ক্ষেত্রে ঘটছে ঠিক তার উল্টো। সংগঠনটির সভাপতি সাহেদ আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু জোটবদ্ধ থাকলেও সাংগঠনিক ভাবে দিয়ে যাচ্ছেন ব্যর্থতার পরিচয়। কমিটি ঘোষণার শুরু থেকে এ যাবৎ পর্যন্ত সফলতা বলতে পুর্নাঙ্গ কমিটি ছাড়া আর কিছুই নেই। দলের প্রয়োজনে সাংগঠনিক ভাবে নিজেদের অবস্থান দেখাতে না পারলেও পদকে ব্যবহার করতে নেই র্কাপন্যতা।
ছাত্র দলের ৪১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে তাদের পারফোমেন্স নেই বলেই চলে। নাম মাত্র শীতবস্ত্র বিতরনের মধ্যেই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সীমাবদ্ধতার দেখা মিলো। যদিও তারা নানা কর্মসূচির বিষয় মৌখিক ভাবে তুলে ধরেছেন তবে সেটা কাগজে কলমে কোন প্রমান মিলেনি। সব কিছু মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জ ছাত্র দল প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে কর্মসূচি পালনে দিয়েছে ব্যর্থতার পরিচয়।