দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে স্বামীর বিরুদ্ধে গৃহবধুকে আটক রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হামছাদি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে স্ত্রী রওশন আরা জাহান স্বামী ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে গত শনিবার রাতে সোনারগাঁ থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেছেন। নির্যাতিত গৃহবধূকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৫বছর আগে উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হামছাদী গ্রামের মৃত সুবেধ আলীর প্রধানের মেয়ে রওশন আরা জাহানের সাথে একই এলাকার মৃত আজগর আলী সরকারের ছেলে মাসুদুর রহমানের সাথে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই স্ত্রীর সাথে প্রায় সময়ই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় স্বামী।
বিবাহীত জীবনে তাদের সংসারে একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ২৬জানুয়ারি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গৃহবধু রওশনকে তার স্বামী অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং ঘরের দরজা বন্ধ করে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এক পর্যায়ে রওশন আরা চিৎকার করলে তার ভাসুর মাহবুবুর রহমান সরকার এর সামনে স্বামী মাসুদুর, দেবর মিজানুর, মশিউরসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা রওশন আরাকে মুখমন্ডল চেপে ধরে মারাত্মক আঘাত করে আহত করেন।
তারা আহত গৃহবধূকে দরজা বন্ধ করে বাইরে তালা দিয়ে রাখে এবং তার ভাইদেরকে ফোন দিয়ে বাড়িতে এনে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক তিনটি ১শ টাকা মূল্যের নন জুডিশিয়াল অলিখিত স্ট্যাম্পে রওশন আরা জাহানও ভাইদের স্বাক্ষর রেখে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও ন্যাশনাল আইডি কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে ঘরে বন্দী করে রাখে। গত পাঁচদিন পর শনিবার সকালে কৌশলে বাড়ি থেকে বের হয়ে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় আহত গৃহবধূ। পরে গত শনিবার রাতে গৃহবধূ রওশন আরা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
গৃহবধুর স্বামী মাসুদুর রহমানের কাছে নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্যাতনের ঘটনাটি অস্বীকার করেন।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, গৃহবধূকে নির্যাতনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।