দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগ নিজেদের সাংগঠনিক অবস্থান শক্তিশালী করার লক্ষে ঘর গুছাতে পার করছেন ব্যস্ত সময়। আর এরই ধারাবাহিকতায় সময় সীমা শেষ হওয়া কমিটি গুলো পুনরায় সাজাঁনোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা।
গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে এবার মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিকে সাজাঁনোর কাজ চলছে। যেখানে সভাপতি পদে আলোচনায় আছে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. খোকন সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জেলা কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন।
আর সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, জিএম আরাফাত, শহর যুবলীগের সভাপতি সাহাদাত হোসেন ভূইয়া সাজনু, সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা উজ্জ্বল। পাশা পাশি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জিএম আরমান, এ্যাড. সুইটি ইয়াছমিন ও বিদ্যুৎ।
এদিকে, কমিটি গোছানোর কাজ হাতে নিলেও সেটা বাস্তবায়ন করতে কিছুটা সময় নিতে পারেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুবলীগ কমিটির কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। পাশাপাশি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিও করার সম্ভবনা আছে। তবে কমিটি গোছানোর কথা শোনার পর থেকে অনেক নেতাই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের সাথে প্রতিনিয়তই যোগাযোগ স্থাপন করে চলছেন ভাল পদের আশায়।
সূত্র আরও জানায়, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিন মেরুর রাজনীতিতে অভ্যস্ত হলেও। সেখানে কর্মী বাহিনী ও রাজনৈতিক প্রভাবের দিক দিয়ে উত্তর মেরুর নিয়ন্ত্রক সাংসদ শামীম ওসমানের কাছে, অধিকাংশ সময়ই পরাস্থ হতে দেখা গেছে দক্ষিন মেরুর নিয়ন্ত্রক মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী।
তবে এখন দেখার বিষয় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের কাছ থেকে কমিটি ভাগিয়ে আনতে কোন্দলে জড়িত দুই মেরুর মধ্যে সফলতা কোন দাড়গোড়ে পৌছায়।
তবে এই জেলায় বিগত দিনের রাজনৈতিক অবস্থা পর্যবেক্ষন করলে দেখা যায়। সেখানে উত্তর মেরু অধিকাংশ সময়ই সফলতা এনেছে। সেই ক্ষেত্রে দক্ষিন মেরুর সফলতা ছিলো সীমিত।
তবে সব জল্পনা কল্পনার অবস্থান ঘটবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করার পরে। আর সেটা বাস্তবায়ন এখন সময়ের ব্যপার।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর ৭১ সদস্য বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের পুর্নাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। যেখানে সভাপতি পদে আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. খোকন সাহা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলালকে রেখে পুর্নাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়ে ছিলো।