দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, আমার লোক হলেও অপরাধীদের খাতির করবেন না। আমার সামনে এসে সবাই ভালো সাজে। আমার কোনো মাস্তান দরকার নেই, লাঠির দরকার নেই, বন্দুকের দরকার নেই। কারণ আমার চেয়ে বড় মাস্তান আর কেউ নেই।
রোববার (০১ মার্চ) দুপুরে শহরের মাসদাইর পুলিশ লাইন্সে জেলা পুলিশের আয়োজনে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২০’ আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, ২০০১ সালের আগে জেলা পুলিশের কাছে যত অস্ত্র ছিল, তার চেয়ে বেশি অস্ত্র শামীম ওসমানের কাছে ছিল। তবে আজ আমার গাড়িতে অস্ত্র আছে কিনা আমি নিজেও জানি না।
তিনি বলেন, আমি এসপি সাহেবকে লিস্ট দেখিয়েছিলাম। ’৭৫ এর পর থেকে আমাদের কতজন মারা গেল? দেখলাম ৫০ জনের ওপর মারা গেল। কিন্তু একটা হত্যার বিচারও পাইনি। ২০০১ সালে বোম ব্লাস্ট হলো, মারা গেলাম। কিন্তু বিচার পাইনি।
শামীম ওসমান বলেন, আপনারা (জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার) প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী। এই কনসেপ্টটা বদলে হয়েছে প্রজাতন্ত্রের সেবক। আমরাও (নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি) প্রজাতন্ত্রের সেবক এখন। পার্থক্যটা হলো, আপনার মেনটালিটিটা কী? আপনি কীভাবে এই সেবক হবেন, না শাসক হবেন। এখানে কেউ ক্ষমতায় এসে শাসক হতে চায়। আবার কেউ ক্ষমতায় থেকে সেবক হতে চায়। এখন যে সেবক হতে চায় তার মর্যাদা একরকম।
তিনি বলেন, আমি শামীম ভালো মানুষ না খারাপ মানুষ, সেই সার্টিফিকেট দেয়ার মালিক আল্লাহ। এখন প্রশাসনের ভেতরে যে দলবাজিটা হয় আমি এটা সমর্থন করি না। আমি মনে করে প্রশাসনের মধ্যে সবচেয়ে বড় দরকার ক্যাপাবল বা ক্যাপাসিটি। আওয়ামী লীগ করতেন বা এটা করতেন। কিন্তু আপনি ক্যাপাবল নন। আপনি অসৎ পারসন। এটা আপনার কোনো কোয়ালিটি হতে পারে না। আপনার কোয়ালিটি এটিই হতে পারে, ইউ আর এ ক্যাপাবল পারসন।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার,
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, জেলা পুলিশ কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি শাহ নেওয়াজ ও র্যাব-১১ এর সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।