দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ অবশেষে বের হতে শুরু করেছে সিদ্ধিরগঞ্জস্থ গোদনাইল সৈয়দ পাড়া এলাকার মহাসিন ভূইয়া গংদের নানা অপকর্মের তথ্য। ঔ এলাকার কথিত যুবলীগ নেতা মহাসিন ভূইয়া গংদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে ভয় পেলেও, স্থানীয় মিডিয়াতে তাদের নানা অপকের্মর তথ্য প্রকাশ হওয়ার পর থেকে স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে। পাশাপাশি তাদের নানা অপকর্মের বিষয় প্রকাশ করছেন।
নাম প্রকাশ করতে অনিছুক এলাকার কয়েক জন বলেন, এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু, সরকারী খাল অবৈধ ভাবে ভরাট সহ ডাকাতি মামলার আসামী সেলিম ভূইয়া ও মহাসিন গংদের নানা অপকর্মের কারনে এতোদিন সাধারণ মানুষ তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিলো।
তবে স্থানীয় মিডিয়াতে তাদের নিয়ে নানা অপকর্মের সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই এক প্রকার গর্ত থেকে সাপ বের হওয়ার উপকর্ম হয়েছে। নানা অপকর্মের তথ্যের পাশাপাশি এবার কিশোরগ্যাংদের শেল্টার দাতা হিসেবেও এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
তারা আরও বলেন, মহাসিন ভূইয়ার নির্দেশে নানা অপকর্মের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে কিশোর গ্যাং এর প্রধান বুলবুল এছাড়াও তাকে সহযোগীতায় রয়েছে বাপ্পী, ঠোট কাটা আরিফ, কাইলা রুবেল, জুয়েল, জামাই মোক্তার।
সূত্র আরও জানায়, ২০১৮ সালে ঔ এলাকার হাজী মোস্তফা স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক মাহমুদ হোসেন আপেল এর কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। সে চাঁদা দিতে অশিকার করায় কিশোর গ্যাং এর প্রধান বুলবুল এর নেতৃত্বে তার উপর অর্তকৃত হামলা চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত জখম করে। এ বিষয় তৎকালিন সময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভূক্তভোগী মাহমুদ হোসেন আপেল। যার নং-১৮/৩/২০১৮ মামলা নং ৪৯/৩১৮। ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৭ ৩৭৯/ ৫০৬ ধারা।
এই মামলায় একাধিক কিশোরগ্যাং এর সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এছাড়াও, চলতি বছরের ১৬ই ফেব্রুয়ারী কিশোরগ্যাং এর প্রধান বুলবুল চাঁদা না পেয়ে ঔ এলাকার ব্যবসায়ী সজিবকে ডেকে এনে তাদের তথা কথিত টর্চাসেলে নিয়ে মারধর করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় সজিব প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
কিন্তু মহাসিন ভূইয়ার প্রভাবের কারনে অদৃশ্য শক্তির বদৌলতে অভিযোগটি কাগজের মধ্যেই সিমাবদ্ধ রয়েছে। যা এখনও সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। যার ফলসূতিতে ভূক্তভোগী পরিবারটি নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছে। অপরদিকে কিশোরগ্যাং এর সদস্যরা আরও বেপরোয়া হয়ে পড়েছে।
সূত্র আরও জানায়, এছাড়াও ঔ এলাকায় কিশোরগ্যাং এর সদস্য বাপ্পীর নিজেস্ব গ্যারেজে রাতের বেলায় বসে মাদকের আড্ডাখানা। দিনের বেলায় নানা অপকর্ম করে বেড়ালেও রাতের বেলায় গ্যারেজে বসে সারা দিনের কর্মকান্ডের হিসেব নিকাশ ও মাদক সেবনের মধ্য দিয়ে তাদের পরবর্তী কর্মকান্ডের দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ বিষয় গোদনাইল সৈয়দ পাড়া বাসীর দাবি মিডিয়ার পাশাপাশি প্রশাসনকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানায়।