দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতি গুটি কয়েক সুবিদাবাদী নেতাদের কারনে কোন্দল আর সমালোচনায় পরিপুর্ণ। এক সময় সাংগঠনিক ভাবে ঢাকার পরে এই জেলা শক্তিশালী অবস্থানে থাকলেও সুবিদা বাদী নেতাদের কারনে সেটাও এখন বিলিন হওয়ার পথে।
অভিযোগ রয়েছে এই কোন্দলের সূচনা হয় সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. তৈমূর আলম খন্দকারের হাত ধরে। আর এই কোন্দলের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে তার ছোট ভাই মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এবং তার শিষ্য এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খাঁন।
এ বিষয় জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতা কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, দলের মধ্যে কিছু সুবিদা বাদী, হাইব্রিট ও ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁত করে রাজনীতির নামে নিজেদের পকেট ভারি করছেন। সেই সাথে ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁত করে তাদের দেয়া রাজনৈতিক প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করছে।
তারা আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়া সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. তৈমূর আলম খন্দকার নিজের অবস্থান ধরে রাখতেই বেশ কৌশল অবলম্বন করে গেছেন। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি তার অধিনে থাকা কালিন দলের মধ্যে কোন্দলকে জাগ্রত করেন। সেই সাথে ত্যাগী নেতাদের ধুরে রেখে নিজের বাড়ীর অযোগ্য লোকদেরকে দিয়ে কমিটি সাজিয়েছেন। এরপর থেকে এই জেলায় ভাইয়ের রাজনীতির আর্বিভাব শুরু হয়।
তবে ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁত করে দলের মধ্যে কোন্দল ধরে রাখতে সক্ষমের পাশাপাশি দলটিকে সাংগঠনিক ভাবে নিচিহ্ন করতে কার্যালয় উছেদের নামে নেতা কর্মীদের করেছেন ঘর ছাড়া।
তার আমলেই বিএনপির কার্যালয় ভেঙ্গে দেয় সিটি কর্পোরেশনের কর্তৃপক্ষ। যেটার পুর্ণ স্থাপন আজও হয়নি।
এছাড়াও কমিটি বানিজ্যেও সে ছিলো বেশ কৌশলী। পাশাপাশি ক্ষমতাশীনদের সাথে সুম্পর্ক রেখে তাদের দেয়া নির্দেশ মোতাবেক দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করেছেন। যার ফলশূতিতে তৎকালিন সময় থেকেই সাংগঠনিক ভাবে ঢাকার পাশ্বর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জ বিএনপি অনেকটাই দুর্বল হতে শুরু করে।
তার এই কর্মকান্ডের ফলে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তাকে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি থেকে ধুরে সরিয়ে দেন। কিন্তু স্থানীয় রাজনীতি থেকে তাকে ধুরে রাখলেও তার অধিনস্থ কর্মচারী ও অযোগ্য নেতারা এখন দলীয় কর্মসূচিতে যোগদান করেন না।
এদিকে, তৈমূরকে স্থানীয় রাজনীতি থেকে ধুরে রাখলেও সেই ধারাবাহিকতা অব্যহত রেখেছেন তার ছোট ভাই খোরশেদ ও এক সময়ের একান্ত শিষ্য এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খাঁন। তৈমূরকে বাদ দিয়ে ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটির ঘোষণা করা হয়। যেখানে স্থান পাওয় তার ছোট ভাই ও একান্ত শিষ্য সাখাওয়াত। এর পর থেকেই নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নোংরা রাজনীতি আরও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
মহানগর বিএনপির মুল নেতৃত্বের বাইরে খোরশেদ যুবদল ও শাখাওয়াত মহানগর বিএনপির আলাদা ব্যানারে ফটোসেশনের রাজনীতি শুরু করে। এর ফলে তৃনমূল নেতৃবৃন্দ বিভ্রান্তির মধ্যে পরে। দলের দুঃসময়ে ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁত করে তাদের নোংরা রাজনীতির কারনে স্থানীয় ভাবে দল অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্থ হতে থাকে। তাদের কর্মকান্ডের কারনে নেতা কর্মীরা একাধিক রাজনৈতিক মামলার আসামীর তালিকায় চলে আসে।
এছাড়াও মহানগর যুবদলে পরিবারতন্ত্র কমিটি, অর্থের বিনিময় পদ বিক্রির অপরাধে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় মিডিয়ার মাধ্যমে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দরা নানা অভিযোগ তুলে ধরেন।
অপরদিকে, বিগত নাসিক নির্বাচনে দলীয় টিকিট পাওয়া সাখাওয়াত ক্ষমতাশীনদের সাথে মিলিত হয়ে অর্থের লোভে পড়ে নেতাকর্মীদের সাথে বেইমানী করে। যা স্থানীয় মিডিয়াতে প্রাকাশিত হয়েছে বেশ জোড়ে সোড়ে। শুধু তাই নয় মহানগর বিএনপির আওতাধীন প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি যেন গুছাতে না পারে।
সেই জন্য সাখাওয়াত ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁত করে দলের মহাসচিব সহ মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন। যা এখনও চলমান রয়েছে। এর ফলে সংগঠনটি সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী হওয়ার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারছেনা।
এদিকে লক্ষ্য করে দেখা যায়, বিএনপিতে প্রবেশ কারী এ্যাড. তৈমূর আলম খন্দকার নিজেকে জিয়াউর রহমানের সৈনিক হিসেবে দাবি করলেও ১৯৯৬ সালে যুক্ত ছিলেন জাতীয় পার্টিতে। সেখানে নিজের অবস্থান তুলে ধরতে ব্যর্থ হওয়ার পর চেষ্টা করেন আওয়ামী লীগে যোগদেয়ার। সেখান থেকে ব্যর্থতায় নিমর্জিত হওয়ার পর তৈমূর যোগদান করেন বিএনপিতে। তার ছোট ভাই খোরশেদও এক সময় বাম দলের রাজনীতি করে আসলেও পরে বড় ভাইয়ে ছত্র ছায়ায় বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদলের অবস্থান করে নেন।
আর গুরুর পথ অনুশর করে আশা সাখাওয়াত কোন পদে না থাকলেও, ২০১৭ সালে মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে স্থান পান। এর পর থেকেই ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁত করে দলের মধ্যে বিভেদের রাজনীতি শুরু করেন। যা এখনও বিদ্ধমান।