দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় বেড়েই চলেছে সংঘবদ্ধ কিশোরগ্যাংয়ের উপদ্রপ। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে একেরপর এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটিয়ে চলেছে তারা। ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর সরদার বাড়ি ও খোঁজপাড়া এলাকার একটি গ্রুপ। এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে ইভটিজিং, ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে এই সংঘবদ্ধ কিশোরগ্যাংটি।
জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আবারও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়েছে ওই কিশোরগ্যাং। একই সাথে চারটি দোকানে ভাংচুর ও লুটপাটেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার (১ মার্চ) রাতে দাপা ইদ্রাকপুর শাহ-জাহান রোলিং মিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই কিশোর সন্ত্রাসীদের হামলায় অন্তত ৬-৭জন গুরুতর আহত হয়।
আহতরা হলেন, দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার মোঃ শফিকুল মিয়ার ছেলে আরিফুল (২০), একই এলাকার মোঃ বাদশা মিয়ার ছেলে মামুন (২৫), ইমন, কাউসার, বিজয়, রাজু ও রাহিম প্রমূখ। এদিকে ওই সংঘর্ষ প্রতিহত করতে গিয়ে ইসলাম নামে এক যুবলীগ কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ( ভিক্টোরিয়া ) চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
ওই হামলার ঘটনায় আহতদের পক্ষ থেকে ফতুল্লা মডেল থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একটিতে দাপা ইদ্রাকপুর ( শাহজাহান রোলিং মিলস) এলাকার বাসিন্দা মো.শরিফুলের স্ত্রী আহত আরিফের মা মোসা.আকলিমা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত সদস্যরা হলো, দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার হাদী সুমনের ছেলে দূর্জয় (২১), আবু তাহেরের ছেলে মোঃ আল-আমিন (২২) ও মোঃ তারেক (১৯), একই এলাকার মোঃ রাব্বি ওরফে ভাগিনা রাব্বি (২৭), জয়নাল কন্ট্রাক্টরের ছেলে মোঃ মোস্তফা ওরফে চাঁদাবাজ মোস্তফা (২৫), ফতুল্লা থানা পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামী ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রওশন আলীর ছেলে পিয়াস (১৮) ও মোঃ জনি (২৫), একই এলাকার শাওন (১৯), পায়েল (২০), মোঃ আকাশ এবং হবু মিয়ার ছেলে সূর্য।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ‘এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অভিযুক্তরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র, হকিস্টিক, রড ও লাঠি-সোটা নিয়ে শাহ-জাহান রোলিং মিল এলাকায় মহড়া দেয়। এসময় রেললাইনের পার্শ্ববর্তী দোকানপাট থেকে অযৌক্তিক ভাবে টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় দোকানপাট ভাংচুর এবং লুটপাট চালায়। এতে বাধা দিতে গেলে দোকান মালিক মামুন, রাহিম, বিজয় ও দোকানের কর্মচারী আরিফকে সহ আরো বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে চলে যায়।’
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী ফতুল্লা মডেল থানার এস.আই আশিষ কুমার দাস জানান, ‘সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মারামারি ও দোকান ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। বিষয়টি আরো তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’