দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ মহসিন ভুইয়া নিজেকে সর্বদা আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবেই জাহির করে চলেছেন। মুলত গোদনাইল তথা সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগ বা সহযোগি সংগঠনে তার কোন নাম নেই বললেই চলে। তবুও তিনি সাংসদ শামীম ওসমানের নাম ব্যবহার করেই উক্ত এলাকাতে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে দিব্ব্যি চলাচল করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এলাকায় বিভিন্ন সাইনবোর্ড অথবা ব্যানারে নিজেকে অনেক বড়মাপের নেতা জাহির করে চলছেন এ মহসিন ভুইয়া। আবার তিনি নিজেকে ২ নং চৌধুরীবাড়ি এলাকার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পদটি দখলে রেখেছেন কয়েক বছর যাবত।
অথচ উক্ত মার্কেটের কোথাও নেই তার নিজস্ব কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তবুও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সাধারন ব্যবসায়ীদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তিনি উক্ত সভাপতি পদটি আখড়ে রেখেছেন। তবে মার্কেটের আশপাশে মহসিন ভুইয়া ও তার প্রেতাতœা বুলবুলের কিশোরগ্যাং দিয়ে প্রতিদিনই বিপুল পরিমানে চাদাঁ উত্তোলন করাচ্ছেন এ মহসিন ভুইয়া। এটা ছাড়া অন্যকোন ব্যবসায় নেই বলে জানান স্থানীয়রা।
এছাড়াও চৌধুরী বাড়ি বাস ষ্ট্যান্ড সংলগ্ন আর,কে গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজের বিভিন্ন ওয়েষ্টিজ মালামাল নিচ্ছেন অবৈধ ক্ষমতার প্রভাবে। এভাবেই তিনি শামীম ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে সাধারন মানুষকে ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে প্রচুর টাকা। আবার মহসিন ভুইয়া পক্ষে যারা বিভিন্নস্থান থেকে চাদাঁ তুলে দিচ্ছে তাদেরকেও টাকার ভাগ দেয়না মহসিন ভুইয়া।
তার এহেন কর্মকান্ডে অনেকেই বলেন,আমরা দিবারাত্র কর্ম করেও ঠিক মত সংসার চালাতে পারিনা অথচ কোন প্রকার কর্ম ছাড়াই প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করে আয়েসী জীবনযাপন করছে। এছাড়াও মহসিন ভুইয়ার বড়ভাই সাইফুল ইসলাম ভুইয়া সরকারী জমির উপর ৩টি বহুতল বিল্ডিং নির্মান করে হাতিয়ে নিচ্ছে প্রচুর অর্থ।
তারা অনতিবিলম্বে মহসিন ভুইয়ার আয়ের উৎস কিভাবে তা উদঘাটনের জন্য দুদক ও প্রশাসনের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয় মহাসিন ভূইয়া বলেন, আপনাদের আমার বিষয় যে তথ্য দিয়েছে তা সম্পুন্য মিথ্যা ও বানোয়াট। তাছাড়া আমি ব্যবসা না করলে চলি কিভাবে। আপনার চায়ের দাওয়াত রইলো আসেন আসলে সব বলবো।