দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রামন প্রতিরোধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায় যে পরিমান ত্রান পাচ্ছি তা অনেক অপ্রতুল্য এমনটাই অভিযোগ করেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুল আলম সেন্টু।
সোমবার (১৩ এপ্রিল )দুপুরে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে আসা ত্রাণ ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পৌঁছে দেওয়ার সময় তিনি এই অভিযোগ জানান।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন,মরণব্যাধি নভেল করোনা ভাইরাস এর কারণে কুতুবপুর ইউনিয়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে যে ত্রাণ আসে তাতে চাহিদা মিটচ্ছে না নিজস্ব তহবিল থেকেও দিচ্ছি। সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ আসা মাত্রই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পৌঁছে দিচ্ছি।
সোমবার পর্যন্ত সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে ১২ হাজার পরিবারের ত্রানের জন্য আবেদন করেছি। আর পেয়েছি মাত্র চার হাজার ৬০০ পরিবারের জন্য পরিবার প্রতি ১০ কেজি করে ৪৫ টন চাল ও এক কেজি করে ডাল। যেটা চাহিদা মিটানোর অর্ধেকও হয় না।
তিনি আরো জানান, বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ত্রানের জন্য আরো আবেদন জমা পড়ছে। তার পরিমানও কয়েক হাজার হয়ে যাবে। সেগুলো মঙ্গলবার সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দেব। সব মিলিয়ে চাহিদার পরিমান ১৫ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এত বিশাল চাহিদার বিপরীতে যা পেয়েছি তা বিতরণের পর আরো প্রায় ১০ হাজারের উপর পরিবার থেকে যায়। সেগুলোকে সমাল দিব কিভাবে।
এছাড়া বিধায় নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আরো প্রায় দুই হাজারেরও অধিক মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। কিন্তু তারপরও একটা বিশাল অংশ বঞ্চিত থেকে যায়। এ পরিস্থিতিতে সরকারি ত্রানের বরাদ্ধ চাহিদা মাফিক বৃদ্ধি করা না হলে সামনে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা বেলাল হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তফা হোসেন চৌধুরী, ৭ং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, সংরক্ষিত নারী সদস্য আরজুদা খুকি ও অনামিকা হক ।