দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত সরকারি ত্রান কর্মহীন দুঃস্থ ও গরীব পরিবারের মাঝে বিতরন করে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়াডের মোঃ মন্টু মেম্বার।
মঙ্গলবার ( ২১ এপ্রিল ) সকালে কুতুবপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বারের বাসার সামনে ১২০টি পরিবারের মধ্যে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে এ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা।
ত্রান বিতরনের সময় ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার সংবাদমাধ্যমকে জানায়,বর্তমান বিশ্বের একটি বড় দূর্যোগ হচ্ছে করোনা ভাইরাস।সরকার এই করোনা ভাইরাস সংক্রামণ প্রতিরোধে জুড়ালোভাবে কাজ করে যাচ্ছে।এই কারনে সরকার গরীব ও অসহায় পরিবারদের সরকারি ত্রান বিতরন করছে।
আর আমার ওয়ার্ডে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে পর্যায়ক্রমে ত্রান বিতরন করে যাচ্ছি।আজকে নন্দালাপুর থেকে ৬০টি ,সেহাচর থেকে ৩৫টি ও পিলকুনি থেকে ২৫ টি পরিবারকে এই ত্রান বিতরন করেছি।
চাহিদার তুলনায় সরকারি ত্রান অপ্রতুল্য হবায় তিনি সংশ্রয় প্রকাশ করে বলেন,আমার ওয়ার্ডে ভোটার প্রায় ১৬ হাজার কিন্তু অন্য জেলা থেকে কাজের জন্য আসা লোকদের নিয়ে মোট জনসংখ্যা ৫৫-৬০ হাজার।সেই তুলনায় আমার ওয়ার্ডে এই পর্যন্ত সরকারি ত্রান এসেছে মাত্র ৫১৫টি পরিবারের জন্য।
যা আমি ৭ বারে দিয়েছি।কিন্তু দুঃখের বিষয় এই বিশাল জনসংখ্যার মধ্যে মাত্র ৫১৫ টি পরিবারকে আমাদের সরকারি ত্রান দিতে গিয়ে খেতে হচ্ছে হিমশিম এবং সেই সাথে কথা শুনতে হচ্ছে।
অথচ এই পর্যন্ত সরকারি ত্রানের জন্য প্রায় ৬ হাজারের উপরে জাতীয় পরিচয়পত্র জমা পড়েছে। তবে উপজেলা পরিষদ থেকে আমাদের জানিয়েছে পর্যায়ক্রমে ত্রান বিতরন চলবে।
অন্যদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১০টাকা কেজি চালের রেশন কার্ড এর কথা টিভি তে বলার পর থেকে প্রতিদিন মানুষ জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসছে অথচ এই পর্যন্ত আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এমন কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি লোকদের বললেও তারা মানতে নারাজ।এর ফলে আমাদের পরতে হচ্ছে বিপাকে।