দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ সদর উপজেলার কুতুবপুর পুর্ব লামাপাড়ায় ১৫৭টি পরিবার সরকারি কোন ত্রান না পেয়ে লকডাউন ভেঙ্গে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ লিংকরোডে অবস্থান করে বিক্ষোভ মিছিল করে খাদ্য সামগ্রীর জন্য।
শনিবার(১১ এপ্রিল)বিকেলে এই বিক্ষোভ মিছিলটি করে ঐ এলাকার বাসিন্দারা।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল ফতুল্লার পূর্ব লামাপাড়া এলাকা থেকে ১জন করোনা ভাইরাস রোগী সনাক্ত হলে ২শ ৫৭ টি পরিবারকে লকডাউন করা হয়। ৭এপ্রিল লকডাউনে থাকা ঐ পরিবার গুলো সরকারি কোন ত্রান না পেয়ে প্রশাসনকে খাদ্য সামগ্রীর জন্য দুপুর পর্যন্ত সময় বেধে দেয়। তা না করলে লকডাউন ভেঙ্গে বাহিরে চলে আসবে বলে জানায়।
বিষয়টি জেলা প্রশাসক অবগত হলে ১শ টি পরিবারের মাঝে ত্রানের ব্যবস্থা করে। কিন্তু ১১ এপ্রিল পযর্ন্ত বাকি ১শ ৫৭ টি পরিবারের কোন ত্রানের ব্যবস্থা করা হয়নি।
একাধিকবার মেম্বার চেয়ারম্যানকে জানানো হলে তারাও কোন ব্যবস্থা না করায় বাধ্য হয়ে লকডাউন ভেঙ্গে রাস্তায় নেমে আসে তারা।
এসময় লকডাউন ভেঙ্গে চলা আসা বিক্ষুদ্ধ জনতা গনমাধ্যমকে জানায়, গত ৫ তারিখ এলাকায় করোনা রোগী পাওয়া যাবার পর থেকে লকডাউনের মধ্যে তাদের রাখা হয়েছে। গত ৭ তারিখ বিক্ষোভ মিছিল করায় দুপুরে চেয়ারম্যান এসে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করবে বলে জানায় এবং বিকেলে ১শ টি পরিবারের খাবার দেওয়া হয়।
বাকিদের পর্যায়ক্রমে খাবার দেওয়া হবে কিন্তু আজ ১১ তারিখ এখন পর্যন্ত কোন খাবারের ব্যবস্থা নেই। ৫ তারিখের পর থেকে এখনও আমরা গৃহবন্দী।
তারা আরও জানায়, এখানের বেশির ভাগ মানুষ গরীব। যারা দিন আনে দিন খায়। বর্তমান ১শ পরিবারে খাবার থাকলেও বাকিদের ঘরে কোন খাবার নেই। অনেকে খাবার খেতে না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পরেছে তাই তারা বাধ্য হয়ে খাবারের জন্য রাস্তায় এসে নেমেছে।সরকার আমাদের খাবার দিবে আর না হলে আমাদের মেরে ফেলুক। এসময় পূর্ব লামাপাড়া থেকে ফোনে কুতুবপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃহান্নানুর রফিক রঞ্জুকে জানালে তিনি গনমাধ্যমকে জানান, ওই এলাকা থেকে প্রতিদিন আমাকে কল দিচ্ছে খাবারের জন্য।
আমি একাধিকবার চেয়ারম্যান মোঃমনিরুল আলম সেন্টুকে জানালে তিনি এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেন নাই।একবার তিনি বলেন নামের লিস্ট নিতে আবার আরেকবার বলেন জাতীয় পরিচয়পত্র নিতে। এলাকা থেকে দুইবার নামের লিস্ট আমরা সংগ্রহ করেছি কিন্তু চেয়ারম্যান কোন ব্যবস্থায়ই নিচ্ছে না ওই এলাকায় খাবার দেবার। চেয়ারম্যান ইউএনওকে জানালে যেকোন সময় কিন্তু খাবার পাই ওই এলাকার মানুষ।
এখন চেয়ারম্যান ও ইউএনও আমার ফোন রিসিভ করছে না।আমি নিজেও বারবার তাদের কাছে এবং আমার এলাকার মানুষের জন্য দৌড়াদৌড়ি করে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। লকডাউন ভেঙ্গে সড়কে বিক্ষোভ করছে বিষয়টি জানানো এবং অতিদ্রুত কোন ব্যবস্থা যাতে নেয় এর জন্য কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃমনিরুল আলম সেন্টু কে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিককে বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন,আমি চেয়ারম্যান এর সাথে ফোনে কথা বলছি। বিষয়টি আমি দেখছি চেয়ারম্যান এর সাথে কথা বলে। ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব লামাপাড়া এলাকার স্বেচ্ছাসেবকরা সংবাদমাধ্যমকে জানান,আমাদের সাথে প্রতিদিন এই এলাকার মানুষদের সাথে ঝগড়া হয়।
তারা আমাদের কাছ থেকে খাবার চায়।আমরা কোথা থেকে খাবার নিয়ে আসবো।আমরা বারবার মেম্বার চেয়ারম্যানকে এখানে আরো বাকি থাকা ১৫৭টি পরিবারের খাবারের জন্য কল দিয়েছি তারা আমাদের বলছে খাবার ব্যবস্থা হলে দিয়ে পাঠাবে।
কিন্তু এলাকার মানুষকি আমাদের এই কথা শুনে।তাছাড়াও আমরা এখানে ১০ জন ৫ তারিখ থেকে কাজ করছে আমাদেরও কোন খাবারের ব্যবস্থা নেই এবং আমাদের নিরাপত্তার জন্য এখন পর্যন্ত কোন মাস্ক,হেন্ড গ্লাবস ও হেন্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হয়নি।নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি।অথচ এখানের লোকদের নানা কথা শুনতে হচ্ছে।খাবারের জন্য।