দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বৈশ্যিকভাবে মহামারী আকারে ধারনকৃত করোনাভাইরাসে প্রতিদিইন মরছে হাজার হাজার মানুষ। এ মহামারী করোনাভাইরাস বাংলাদেশেও এর প্রভাব বিস্তার করেছে। কয়েকজনের মৃত্যু ছাড়াও আক্রান্ত হয়েছে অনেকে। ইতিমধ্যে এ ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা ছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থাও বন্ধ করেছেন।
পাশাপাশি ঔষধের দোকান,কাচাবাজার ও মুদি দোকান বাদে সবকিছুই বন্ধ ঘোষনা করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে খাবার দেবারও ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন। কিন্তু সরকারের দেয়া ত্রান সামগ্রীগুলো সঠিকভাবে বিতরন না করাতে খেটে খাওয়া মানুষগুলো পড়েছেন বিপাকে।
এমনিভাবে ২/৩দিন যাবত না খেতে পারা মানুষগুলো আজ রবিবার ( ৫ এপ্রিল ) সকাল সাড়ে ১১টায় চাষাড়া রাইফেলস ক্লাবের সামনে সেনাবাহিনীর গাড়ি আটক করে দিয়ে তাদের কষ্টের দিনানিপাতের কথা বলেন। ডিসি অফিস সংলগ্ন চানমারী বস্তির প্রায় ৪০/৫০জন পুরুষ-মহিলা তাদের সন্তান নিয়ে সেনাবাহিনীর গাড়ির পথরোধ করে দিয়ে অনেকেই কান্নারত অবস্থায় তাদের বর্তমান কেটে যাওয়া জীবনের কিছু কথা বলেন।
এ সময় অনেক ক্ষুধার্ত পুরুষ-মহিলা সেনাবাহিনীর গাড়ির সামনে বসে পড়েন। সেনাবাহিনীর সদস্যরা ক্ষুধার্ত সে মানুষগুলোকে শান্তনা দিয়ে ডিসি অফিসে চলে যায়।
চানমারী বস্তি থেকে আসা ২২ বছর বয়সী অসিরন ( ছদ্ম নাম ) জানান,৩ দিন যাবত তার ঘরের চুলোয় আগুন জলেনা খাবারের অভাবে। কোলে থাকা ৫ মাসের শিশুকে নিয়ে সেনাবাহিনী ও
সাংবাদিকদেরকে জানান,৩ দিন যাবত কিছুই খাইনা। আমি না খেলে আমার কোলে থাকা সন্তানটি কিভাবে বুকের দুধ পাবে ? শুনছি সরকার আমাগো লেগা চাইল.ডাইল দিছে কিন্তু এহনও পর্যন্ত পাই নাই। ২দিন যাবত রাইফেলস ক্লাবের সামনে বসে আছি কিছু দিবো এর লাইগা। সেনাবাহিনীর পথ রোধ করলেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে অনেক ক্ষুধার্তরা বলেন, হুনছি হেরা নাকি গরীবগো মাঝে খাওন দিতাছে হের লাইগা হেগো গাড়ি আটকাইছি।
অছিরনের মত বস্তি থেকে আসা সকল নারী-পুরুষের কথা আমরা কয়দিন না খাইয়া থাকমু। সরকারতো আমাগো লেগা খাওন দিছে কিন্তু আমরাতো পাইতাছিনা। কোন রাজনৈতিক নেতাকর্মী খাবার নিয়ে যায়নি এমন প্রশ্নের জবাবে একই সুওে সবাই বলেন,মিছিল মিটিংয়ের সময় আমাগো লাগে এহন আমাগো লাগবোনা। কারন এহন লাগলেতো খাওন দিতে অইবো।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে জেলা প্রশাসক মো.জসিমউদ্দিন এর মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।