দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি সাবেক সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের লাশ নারায়ণগঞ্জ থেকে সরানোর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ মানববন্ধন করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে মাজেদের লাশ সোনারগাঁয়ের মাটি থেকে সরানো না হলে কবর খুঁড়ে নদীতে ফেলে দেয়ার হুমকি দেন তারা।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে নারায়ণগঞ্জ যুব আইনজীবী পরিষদের সভাপতি ফজলে রাব্বি বলেন, গোপনে সোনারগাঁয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের লাশ দাফন করা হয়েছে। এজন্য সোনারগাঁ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানাই। মাজেদের লাশ তার বাড়ি ভোলায় দাফন না করে সোনারগাঁয়ে করায় আমরা ক্ষুব্ধ। এতে সোনারগাঁকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। দ্রুত মাজেদের লাশ সোনারগাঁ থেকে সরাতে হবে। না হলে কবর খুঁড়ে নদীতে লাশ ফেলে দেয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহফুজুর রহমান কালাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদকে সোনারগাঁয়ে দাফনের মাধ্যমে সোনারগাঁয়ের মাটিকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। এটি আমরা মেনে নিতে পারি না। খুনি মাজেদ যেহেতু সোনারগাঁয়ের সন্তান নয় সেহেতু সোনারগাঁয়ের মাটিতে তার দাফন হতে পারে না। জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ এই খুনির লাশ সোনারগাঁ থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিন।
তিনি আরও বলেন, সরকার কোনো পদক্ষেপ না নিলে আমরা তার লাশ উত্তোলন করে নদীতে ভাসিয়ে দেব। আমরা চাই, তার লাশ নদীতে ভাসতে ভাসতে তার জন্মস্থান ভোলার বোরহানউদ্দিনে চলে যাক।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, সনমান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন সাবু, সনমান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসহাক মোল্লা, উপজেলা সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আজিজুর রহমান মুকুল ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাসেল মাহমুদ।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হয়। পরে লাশ তার শ্বশুরবাড়ি সোনারগাঁয়ের শম্ভুপুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে দাফন করা হয়।
গতকাল রোববার সকালে এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ করে লাশ অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার দাবি জানায়।