দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ ২০১৩ সালে ফুটবলার রাসেল হত্যা কান্ডের প্রধান আসামী কিশোর গ্যাং লিডার ও বহু অপকর্মের মুল হোতা ইভন আবারও বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে। ঘুড়ি উড়ানো কেন্দ্র করে ফের এক যুবকের উপর হামলা চালিয়েছে এই ইভন। এতে গুরুতর আহত হয় ঐযুবক।
এদিকে করোনাভাইরাস রোধে সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে লকডাউন ঘোষনা করলেও ইভন বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেমে নেই। এলাকার অলিতে গলিতে চলছে ইভন বাহিনীর মহড়া। জানাগেছে, ইভন ইসদাইর এলাকার এম এ আজম বাবুর ছেলে।
প্রত্যক্ষ সূএে জানাগেছে, ২০১৩ সালে ফুটবলার রাসেল হত্যা কান্ডের পর থেকেই ইভন বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে। ফুটবলার রাসেলের বাবা গরীব ভ্যান চালক বলে ন্যায় বিচার পায়নি। এদিকে ইভনের অনৈক কর্মকান্ডে প্রতিবাদ করায় স্কুল শিক্ষার্থী ফারদিনের পথ গতিরোধ করে তুলে নিয়ে যায়।
পরে ইভনের টর্চার সেলে নিয়ে ফারদিনকে অমানুষিক নির্যাতন ও ছুরিকাঘাত করে। সেই ঘটনায় ইভন গংদের বিরুদ্ধে গত ১৯ অক্টোবর ফারদিনের পরিবারের পক্ষ থেকে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ইভনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইভন জামিনে বের হয়ে ফারদিনের মামা রিপন ফকির নামে এক গ্রীস প্রবাসীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এছাড়াও মামলা তুলে না নেওয়ায় ফারদিনের বাসায় বোমা মারে। এছাড়াও ফারদিনের পরিবারকে দুর্বল করতে ইভনের বাবা এমই আজম বাবু ভুয়া ছিনতাই মামলা দায়ের করেন। পরে গত ১৩ ফ্রেব্যুয়ারী ফারদিনের পরিবারের পক্ষ থেকে নিজেদের নিরাপওার জন্য ইভনের বিরুদ্ধে এসপি বরাবর একটি স্বারকলিপি প্রদান করেন।
এতো কিছুর পরও থেকে নেই ইভন। এদিকে মাদকের টাকার ভাগাভাগি নিয়ে ইভন গত ২৪ মার্চ মঙ্গলবার রাতে বুড়াবুড়ির হোটেলের সামনে সাওার ও সুমনের উপর হামলা চালায়। এসময় দেশী অস্ত্র নিয়ে পুরো এলাকায় মহড়া দেয়। এতে এলাকায় একপ্রকার আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
এদিকে বৃহওম ইসদাইর বুড়ির দোকান ও রসুলবাগের শান্তি প্রিয় মানুষ এলাকার শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য বহু অপকর্মের মুল হোতা ইভন গংদের আইনের আওতায় এনে এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করছেন।
এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, ইসদাইরে কিশোর গ্যাং সদস্যদের বিরুদ্ধে যদি কোন অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।