দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে না চলায় উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হাড়িয়া এলাকার আবুবকর (১৪) করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন বলে মনে করছেন সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পলাশ কুমার সাহা।
তিনি জানান, করোনা আক্রান্ত আবু বকরের বাবা-মা সাথে কথা বলে যতটুকু জানা গেছে, আবু বকর পিরোজপুর ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করত। গত কয়েকদিন আগে মাদ্রাসা থেকে তার বাবা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। তারা যে বাড়িতে থাকতো সে বাড়ীর আশপাশের কোন লোক বিদেশ ফেরত লোক নাই।
এমনকি তার আশপাশে কোন করোনা রোগীও সনাক্ত হয়নি। তবে তার বাবা জানিয়েছেন আবু বকর তার বাবার সাথে রাস্তা দিয়ে বাজারে দোকানে কেনাকেটা করতে আসা যাওয়া করতো। যেখানে মানুষ সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলতো না।
সম্ভব্ত সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে রাস্তাঘাট, বাজার ও দোকানে আসা যাওয়ার কারনে এবং ঠিকমত মাস্ক ব্যবহার ও হাত সাবান দিয়ে পরিস্কার না করার কারণে হয়ত করোনা ভাইরাসটি তার দেহে সংক্রামিত হতে পারে। করোনা ভাইরাসটি সংক্রমিত হওয়ার পর সে তার বাবা ও অন্যদের সাথে পুকুরে মাছ ধরে ছিলো সেখান থেকে তার ঠান্ডা জ্বর শুরু হয়।
গতকাল সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আবু বকরের নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষা করা হয়। পরিক্ষার রির্পোটে তার করোনা পজেটিভ আসে। এরপর গতকালই তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হয়।