দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবেও বসেনেই নারায়ণগঞ্জ রাজনৈতিক অঙ্গনের কিছু স্বার্থহীন নেতা। কোন জনপ্রতিনিধি না হয়েও শুধু রাজনৈতিক পদে থেকে ব্যক্তি উদ্যোগে নিরলশ পরিশ্রম করে যাচ্ছেন কর্মহীন অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের জন্য। জীবনের মায়া ছেড়ে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে কেউবা রাতের আধারে আবার কেউবা দিনের আলোতে নিজেদের অর্থ ব্যয় করে অসহায় মানুষের মোখে খাবার তুলে দিতে এগিয়ে যাচ্ছেন তারা।
লক্ষ্য করলে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনের আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিতে শুধু পদে থেকে সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা না পেয়েও মানুষের জন্য নিরলশ পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এই মানুষ গুলো। তাদেরকে কেউ বলে অসহায় মানুষের বন্দু আবার কেউ বলে মানবাতার ফেরিওয়ালা।
এদের সকল উল্লেখ্য যোগ্য নেতা ও নেত্রীদের মধ্যে একজন পারভীন ওসমান তিনি প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের সহধর্মীনি। কেন্দ্রীয় মহিলা পার্টির উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শুধু সেই পদে থেকেই মহামারি করোনাভাইরাসের কারনে সরকার ঘোষিত লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছেন। নাসিকের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন। আর অসহায় মানুষ গুলো তার মাঝেই ফিরে পেয়েছেন হারানো সেই নেতা নাসিম ওসমানকে।
অপরদিকে, মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এ্যাড. আবুল কালাম একই কায়দায় অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য ও ইফতার সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন। তিনি অসুস্থ থাকার কারনে তার ছেলে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউছার আশা সেই গুরু দায়িত্ব পালন করছেন। মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রথম মৃত্যুবরন করে নাসিক ২৩নং ওয়ার্ডে। এর পরই ঐ এলাকাকে লকডাউন করা হয়। এরপর থেকেই ঐ এলাকার দিন মজুর মানুষ গুলো কর্মহীন হয়ে পড়ে। সেই থেকেই শুরু হয় তার মানবতার সেবার কর্যক্রম।
দিনে ও রাতের আধারে আবুল কাউছার আশা তার বাবার নির্দেশে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ছুটে যান অসহায় মানুষ গুলোর পাশে। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। শুধু তাই নয় মহামারি করোনরাভাইরাসের গ্রাস থেকে সাংবাদিক, পুলিশ ও চিকিৎসকদের রক্ষার্থে ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রদান করেছেন পার্সোনাল প্রোটেক্ট ইকুইপমেন্ট (পিপিই)। এছাড়াও দলীয় নেতাদের মাধ্যমে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় কর্মীদের মাঝেও খাদ্য ও ইফতার সামগ্রী দিয়ে আসছেন। আর এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন।
ঠিক একই কায়দায় দলীয় নেতাদের আর্থিক ভাবে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু। নিজে আর্থিক ভাবে দুর্বল হলেও বিত্তবান নেতাদের কাছ থেকে এনে তা বিলিয়ে দিচ্ছেন দলের অসহায় তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের মাঝে। তার এই চেষ্টায় কিছুটা হলেও হাসি ফুটেছে কর্মীদের মাঝে।
এদিকে মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধানের দানশীলতার কারনে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন রাজনৈইতক মহল থেকে শুরু করে অসহায় মানুষের কাছ থেকে। কোন জনপ্রতিনিধি না হয়েও করোনাভাইরাসের আবির্ভাব হওয়ার পর থেকে ব্যক্তি উদ্যোগে অসহায় মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন নির্ধিদায়। শুরু থেকেই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে মাক্স, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, খাদ্য সামগ্রী, শিশু, গর্ভবতী মা ও বয়স্ক মুরুব্বিদের পুষ্টিকর খাবার বিতরন করেন। সেই সাথে ঘোষণা দেন নাসিক ৮নং ওয়ার্ডে করোনাভাইরাসে মৃত ব্যক্তিদের দাফনের দায়িত্ব নিবেন। সেই ঘোষণার সাথেই তিনি স্বেচ্ছাসেবী দল গঠন করেছেন। পাশাপাশি ঘোষণা দিয়েছেন তারই সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী নিজ অর্থ্যায়নে ইতিমধ্যে ফতুল্লা ও কুতুবপুরে প্রায় এক হাজার কর্মহীন অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রান সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন। মীর সোহেলের সাথে থাকা যুবলীগ নেতাদের মাধ্যমে তিনি এ ত্রান সামগ্রী বিতরন করছেন।
অপরদিকে ক্ষমতাশীন দলের নেতা হলেও শুধু যুবলীগের নেতা শাহ ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ নাসিক ১৩নং ওয়ার্ডে অসহায় মানুষের জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দিনে ও রাতে খাদ্য ও ইফতার সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছেন অসহায় মানুষের বাড়িতে। সেই সাথে সকলকে সর্তক থাকতে বলছেন এই মহামারি থেকে।
ঠিক একই কায়দায় মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু তার ব্যক্তি উদ্যোগে খাদ্য ও ইফতার সামগ্রী বিতরন করে যাচ্ছেন প্রতি নিয়ত। মহামারি করোনাভাইরাসের কারনে অসহায় কর্মহীন হয়ে পড়া মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে তার এই সেবা অব্যাহত রয়েছে। শুধু তাই নয় প্রতিটি ওয়ার্ডে যাতে করে সঠিক ভাবে তার সামগ্রী বিতরন হয়। সেই জন্য স্বেচ্ছাসেবী দল গঠন করে দিয়েছেন ছাত্র দলের নেতাদের দিয়ে। সেই সাথে অসহায় মানুষের পাশে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন তিনি।