দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুভার্বের পর থেকে সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারনে কর্মহীন অসহায় মানুষের পাশে থেকে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন একঝাক তরুন সংগঠক ও রাজনীতিবিদ। দেশের এই দুঃসময়ে সমাজ সেবায় বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন তারা। এদের মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয়পার্টির সহযোগী সংগঠনসহ ও সামাজিক সেবামূলক সংগঠন গুলো।
নারায়ণগঞ্জে স্থানীয় ভাবে তাদের কর্মকান্ডই অসহায় মানুষের হৃদয়ে তারা স্থান করে নিয়েছেন খুব সহজেই। তাদের এই স্বার্থহীন সেবায় অসহায় মানুষের জন্য ব্যবস্থা হয়েছে দু’বেলা খাবারের।
এই সকল সমাজ সেবকদের মধ্যে বেশ আলোচনায় রয়েছেন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
যাদের কথা না বললেই নয়,
শহর যুবলীগের সভাপতি সাহাদাত হোসেন ভূইয়া সাজনু তিনি রাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি “গোলাম সারোয়ার মানবকল্যান ট্রাষ্ট” এর নামে প্রায় ৭ হাজার ১শ অসহায় কর্মহীন পরিবারের মাঝে ৩ ধাপে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন। এর মধ্যে ২ এপ্রিল ১৭শ, ২২ এপ্রিল ২৪০০ আর ১৮ মে ৩ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন।
সেই সাথে রমজানের শুরু থেকে এযাবৎ পযর্ন্ত সাড়ে ৩ হাজার পরিবারের মাঝে রান্না করা ইফতার সামগ্রী বিতরন করেছেন। আর এর ধারাবাহিকতা চলবে পুরো রমজান মাস জুড়ে। সেই সাথে রাজনৈতিক ভাবে ধারাবাহিকতার সহিত সেবার কাজও চালিয়ে যাচ্ছেন।
মহানগর যুবসংহতির রিপন ভাওয়াল, মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করা ১০ জন মৃত ব্যক্তিদের দাহ, আক্রান্ত ব্যক্তিকে সঠিক চিকিৎসা প্রদানে সহযোগীতা, হাসপাতালে প্রেরন করা সহ বিভিন্ন সেবা মূলক কাজের দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই সাথে লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া প্রায় ১২শ পরিবারের মাঝে ধারাবাহিকতার সহিত খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেছেন। পাশাপাশি শুরু দিকে প্রায় ১৫শ মানুষের মাঝে মাক্স, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরন করেন।
মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউছার আশা, বাংলাদেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করে নাসিক ২২নং ওয়ার্ডের রসুলবাগ এলাকায় এক নারী। এরই ধারাবাহিকতায় ঐ এলাকাকে প্রশাসন কর্তৃক লকডাউন ঘোষণা করা হয়। আর সেই থেকে শুরু হয় তার খাদ্য সামগ্রী বিতরনের কার্যক্রম।
এরপর থেকে সাবেক সাংসদ ও মহানগর বিএনপির সভাপতি এ্যাড. আবুল কালামের নির্দেশে ছুটে বেড়ান মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে অসহায় মানুষের পাশে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে। যার ধারাবাহিকতা এখনও চলছে। এযাবৎ পর্যন্ত খাদ্য সামগ্রী, ইফতার সামগ্রী ও ঈদ সামগ্রী মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার পরিবারের মাঝে বিতরন করা হয়েছে। আর এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধান, শুরু থেকে অসহায় পরিবারের মাঝে মাক্স, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, খাদ্য সামগ্রী, গর্ভবতী মা, শিশু ও মুরুব্বীদের জন্য পুষ্টিকর খাবার, দুধ, বিতরন করেন। সেই সাথে এবার নতুন উদ্যোগ গ্রহন করেছেন প্রতিবন্ধীদের জন্য কিছু করবেন। আর সেই ভাবে তার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। সেই সাথে পুষ্টিকর খাবার বিতরনের কাজ অব্যাহত রয়েছে বলে জানান।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানি, বিগত দিনে ছাত্র রাজনীতি করে যিনি বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। বর্তমান তিনি কোন পদে না থাকলেও অসহায় মানুষেরা সেবায় রয়েছেন বেশ এগিয়ে। “স্লোগান” ও মুক্তিযুদ্ধের মঞ্চ নামে দুটি সংগঠনের ব্যানারে কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করে যাচ্ছেন।
এছাড়াও সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হওয়ায় তার অনুশারী সাবেক ছাত্রলীগ নেতারাও তার নির্দেশে ত্রাণ বিতরন করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারেও তিনি অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন।জেলায় এ যাবৎ পযর্ন্ত প্রায় ৫ হাজার অসহায় পরিবারের মাঝে তার নেতৃত্বে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র দলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি, করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের পর থেকে তার নেতৃতাধীন প্রতিটি থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তার নির্দেশ মোতাবেক খাদ্য ও ইফতার সামগ্রী বিতরন করে যাচ্ছেন। শুরু থেকে এযাবৎ পযর্ন্ত তিনি ১২ হাজার ২৬০ টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রিক বিতরন করেছেন বলে দাবি করেছেন। সেই সাথে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
নারায়ণগঞ্জ ইয়থ ক্লাব সভাপতি ইব্রাহিম আদহাম খান, মহামারির পর থেকেই অসহায় মানুষের মাঝে ১০ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরন করেন।পাশাপাশি কর্মহীন অসহায় মানুষের জন্য তিনধাপে ৯শ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন। সেই সাথে এই অসহায় মানুষের পাশে খাদ্য সামগ্রী বিতরনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
মহানগর ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু, শুরু থেকে এ যাবৎ পযর্ন্ত প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য ও রান্না করা ইফতার সামগ্রী প্রদান করেন। সেই সাথে মাক্স ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরন করেন। তার নেতৃতাধীন নাসিক ২৭টি ওয়ার্ড ও ৭টি ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা ধারাবাহিকতার সহিত কাজ করে যাচ্ছেন। আর এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।