দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ ত্রাণের দাবিতে বন্দরের সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে দক্ষিণ কুশিয়ারা এলাকার ত্রাণবঞ্চিত প্রায় ৭০টি কর্মহীন পরিবার।
শুক্রবার (১৫ মে) সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঘন্টা ব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করে।
বিক্ষোভকারীরা জানান, লকডাউনের কারণে অনেকের কাজ বন্ধ। ফলে তাদের ঘরে খাবার নাই, অনেকে খেয়ে না খেয়ে অনাহারে জীবনযাপন করছি। চেয়ারম্যান ও মেম্বার এখনো আসেনি। এবং এ পর্যন্ত সরকারী কোন সাহায্য পাই নাই। এলাকার মানুষ কিছুই পায় নাই। আমরা বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বারকে জানিয়েছি। কিন্তু তারা কিছুই দেয় নাই।
চেয়ারম্যান ও মেম্বার আমাগো চিনেই না, একটা সিলিভও দেয় নাই। আমাদের কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ড ও নাম ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার নিয়ে যায়। তাদের কাছে গেলে তার বলে ফোন দিমুনে। ২/৩ মাস যাবৎ কাজ কাম বন্ধ আমরা এখনও পর্যন্ত চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছ থেকে আমরা কোন সাহায্য সহযোগীতা পাই নাই।
কুশিয়ারা দক্ষিণপাড়া এলাকার মো. শামীম জানান আমরা দিনের পর দিন অর্ধাহারে অনাহারে দিন পার করছি অথচ কোন মেম্বার চেয়ারম্যান আমাদের খোঁজ খবর নিতে ও আসেনি।
বন্দর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো. ফিরোজ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার ৮নং ওয়ার্ডে দক্ষিণ কুশিয়ারা এলাকায় প্রায় ৭০টি পরিবার কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তারা এখনও চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছ থেকে কোন ত্রান সামগ্রী পায় নাই।
আমি শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে নৌকার মার্কার নির্বাচন করেছি লাঙ্গলের নির্বাচন করেনি এই কারণে আমার এলাকায় প্রায় ৭০টি পরিবার মানবেতর জিবন যাপন করছি ত্রাণ সহযোগিতা না পেয়ে।
বন্দর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল সালাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী কতৃক নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ব পরিবারের জন্য ২৫শ’ টাকা করে দেওয়া কথা থাকলেও আমাদের চেয়ারম্যান নিজ হাতে বন্টন করেছেন অথচ মেম্বার কে একটিও কার্ডও দেওয়া হয়নি। এবং সরকারিভাবে যে ত্রান সামগ্রী বিতরন করার কথা তাও আমাকে দেওয়া হয়নি। তিনি জামায়াতের নেতা নজু মোল্লার নেতৃত্ব কার্ড বিতরণ করা হয় অথচ আমি মেম্বার হয়েও আমাকে একটি কার্ড ও দেওয়া হয়নি।
এবিষয় বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন বলেন, আমরা ২৫/৩০ হাজার আইডি কার্ড পেয়েছি আর অনুদান পেয়েছি ২৫শ’ এতো লোক কে দেওয়া সম্ভব না, আর সবাইকে দিতেও পারবো না, এমপি সাহেব যে ত্রাণ দিয়েছে তা মহিলা মেম্বার কে দিতে বলেছে পুরুষ মেম্বারদের দিতে নিষেধ করেছে।