দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবে উদীয়মান তরুন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ নিরলশ পরিশ্রম করে যাচ্ছেন অসহায় কর্মহীন মানুষের জন্য। অথচ মরণব্যাধি এই ভাইরাসের কারনে জেলার ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতারা নিজেদেরকে আবদ্ধ করে রেখেছেন চার দেয়ালের মাঝে।
বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম নারায়ণগঞ্জেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই সরকার ধারাবাহিকতার সহিত এই জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে লকডাউন ঘোষণা করেন। যার ফলশ্রুতিতে অসহায় দিন মজুর মানুষ গুলো কর্মহীন হয়ে পড়েন। এর ফলে বিগত দিনে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিভিন্ন স্থানে অসহায় মানুষ গুলো খাদ্যের অভাবে রাস্তায় নামতে শুরু করে। অথচ তখনও নারায়ণগঞ্জে রাজনৈতিক অঙ্গনের অনেক সিনিয়র নেতাদের ঘুম ভাঙ্গেনি অসহায় মানুষ গুলোর পাশে দাড়াবার জন্য।
অপরদিকে, স্থানীয় ভাবে যারা জনপ্রতিনিধি রয়েছেন তারা সরকারী ত্রাণ গুটি কয়েক নেতা কর্মীদের দিয়ে মানুষের কাছে পৌছে দিয়েছেন। আর যারা জনপ্রতিনিধিত্ব করেন না তারা যেন একেবারেই নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন সব কিছু থেকে।
ঠিক সেই সময় নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সহ অরাজনৈতিক সংগঠনের অনেক উদীয়মান তরুন সমাজের অসহায় মানুষের পাশে এসে দাড়িয়েছেন নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকে।
এদের অনেকেই শুধু আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সহযোগী সংগঠনের পদ বহন করছেন। আবার অনেকেই সাবেক হিসেবে ছিলেন, কেউ কেউ কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নন।
এ সকল উদীয়মান তরুন যারা বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবেও মৃত্যুকে হাতের তালুবন্দি করে নিরলশ ভাবে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন অসহায় কর্মহীন মানুষ গুলোর জন্য। যাদের এই সেবামূল কর্মকান্ডই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছেন সফলতার সহিত।
করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের পর থেকেই তারা পরিস্কার সামগ্রী, পার্সোনাল প্রোটেক্ট ইকুইপমেন্ট (পিপিই), খাদ্য সামগ্রী, ইফতার সামগ্রী, কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌছে দেয়া, স্বেচ্ছায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির দাফন সহ নানা সেবা মূলক কাজে তারা এগিয়ে এসেছেন নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকে।
মহামারি করোনাভাইরাসের মত মরণব্যাধির প্রার্দুভাবেও উদীয়মান তরুনদের এই উদ্যোগই প্রমান করে এদেশে এখন যুদ্ধারা রয়েছে বৃদ্ধমান তরুনদের হৃদয়ে।
এ বিষয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, দেশে করোনাভাইরাস মোবাবিলা এই মুর্হুতে যুদ্ধের সামিল। কারন আপনি ঘর থেকে বের হচ্ছেন সুস্থ বাড়িতে কি সেই সুস্থ অবস্থায় ফিরবেন কিনা তার কোন গ্যারান্টি নেই। কারন যেভাবে দিন দিন করোনার রোগী বেড়ে চলেছে তাতে আপনি নিশ্চিত নন আপনার পাশের ব্যক্তিটি এই ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা।
তাছাড়া আপনি নিজে আক্রান্ত হওয়ার পর আপনার পরিবার ও সন্তান আক্রান্ত হবে। আর এইসব বিষয় গুলো বিবেচনা করে অনেকেই অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পরিবারের কথা চিন্তা করে বাড়িতে থাকছেন। আর সেই সময় পরিবার পরিজনের কথা ভুলে মানুষের পাশে ছুটে যাওয়া আমরা মনে করি যুদ্ধের সামিল। কারন শত শত মানুষের মাঝে তরুন সমাজ তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে কিছু এলাকা রয়েছে যেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারনে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানেও তারা যাচ্ছেন জীবনের ঝুকি নিয়ে। এটা একমাত্র বাঙ্গালী উদীয়মান তরুন সমাজই পারে।
আমরা করি যারা চিকিৎসক, পুলিশ, সাংবাদিক এবং এই ধরনের উদীয়মান স্বেচ্ছাসেবী তরুন সমাজ মহামরি করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। তারা বর্তমান সময়ের মুক্তিযুদ্ধা। তাদের কাছ থেকে ভবিষ্যত প্রজন্ম অনেক কিছুই আশা করে।