দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: গাঁজা সেবন কালে বাঁধা প্রদান করায় হেলেনা বেগম (৫৫) কে চাপাতি দ্বারা কুপিয়ে হাতের কবজি কেটে দিলো মাদক ব্যবসায়ী সেলিম (৫১)। এ সময় হামলা কারিরা আহতর সাথে থাকা র্মোশেদা (৩৫) এর পেটে বটি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় ২নং বাবুরাইল মাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় হেলেনা বেগমের ছেলে মিন্টু নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় হামলাকারিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৩ (৩০/০৪/২০)।
মামলার বিবরনে জানা যায়, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে র্মোশেদা বেগম তার নিজ বাড়িতে কোরআন তিলাওয়াত করছিলো। এ সময় পাশের বাড়িতে বসবাসরত চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সেলিম, হাবিব (৫৫), কামরুল (৪৭)ও পারভীন বেগমসহ অজ্ঞাত ২/৩ মাদক সেবন করে চিল্লাচিল্লি করছিলো।
এতে করে র্মোশেদা বেগমের কোরআন পড়তে সমস্যা হচ্ছিলো। বিষয়টি উক্ত আসামীদের অবগত করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় উক্ত আসামীরা ঘর থেকে চাপাতি, বটি ও লোহার রড নিয়ে এসে তার উপর হামলা করে।
এক পর্যায় তাদের হামলায় মোর্শেদা বেগমের পেটে বটির আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয়। আহত মোর্শেদার আত্মচিৎকারে বাড়িতে থাকা হেলেনা বেগম ছুটে আসলে তাকেও চাপাতি দিয়ে আঘাত করে হাতের কবজি কেটে ফেলে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হেলেনা বেগমের স্বামী শুক্কুর মিয়া (৬০) ও তার ছেলে টিটু এবং ভাতিজা মারুফ ছুটে এলে হামলাকারিরা তাদেরকেও লোহার রড দিয়ে এলোপাতারি আঘাত করে নিলাফুলা জখম করে তারা পালিয়ে যায়।
পরে তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ১শ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়।
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হেলেনা বেগমকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করলে তার পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যায়। বর্তমান তিনি সেখানে চিকিৎসনাদীন রয়েছে।
এদিকে আহতের পরিবারের দাবি, এই ঘটনায় মামলা হলেও প্রশাসন করোনার দোহাই দিয়ে আসামীদের আইনের আওতায় না নেয়ায় হুমকীর মুখে রয়েছেন তারা।
তারা আরও বলেন, এই ঘটনায় প্রশাসনের কোন তৎপরতা না থাকায় আসামীরা এলাকায় উন্মোক্ত চলাফেরা করছেন।
আমরা ধারনা করছি মামলার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যর সাথে আসামীদের সক্ষতা আছে।
এ বিষয় মামলার দায়িত্বে থাকা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব বলেন, আমরা প্রতিনিয়তই বাদীর সাথে যোগাযোগ করছি। সেই সাথে আসামীদের আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আজকেও আসামীরেদর বাড়িতে গিয়ে ছিলাম কিন্তু কাউকে পাইনি। আমরা আসামীদের আত্নীয় সজনদের বাড়িতেও খোঁজ নিচ্ছি। আশাকরি অচিরেই আসামীদের আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।