দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: রূপগঞ্জ উপজেলায় আনোয়ার হোসেন (৪২) নামে যুবলীগের নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক দোকানপাট-বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে নিহত যুবলীগ নেতার অনুসারীরা।
বুধবার (০৬ মে) দুপুরে রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের পূর্বগ্রাম বাজারে আনোয়ার হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে ওই এলাকায় হামলা চালান আনোয়ারের অনুসারীরা। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।
নিহত আনোয়ার হোসেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা ছিলেন। কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের ৯নং ওয়ার্ডের বাদশা মাঝির ছেলে তিনি। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, আনোয়ার হোসেন পূর্বগ্রামের বড় মসজিদ সংলগ্ন মাইনুলের বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন। সোমবার দুপুরে আনোয়ার হোসেনের মেয়ে আনিকা আক্তার বাড়ির সামনে দিয়ে হাটতে গেলে পূর্বগ্রামের আফতাবুদ্দিনের ছেলে সানাউল্লাহ তাকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করে। এ নিয়ে আনোয়ার ও তার লোকজনের সঙ্গে সানাউল্লাহর পক্ষের লোকজনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বুধবার দুপুর ১টার দিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আনোয়ারকে কুপিয়ে জখম করা হয়। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ খবর চনপাড়া বস্তিতে ছড়িয়ে পড়লে নিহত আনোয়ারের আনুসারীরা পূর্বগ্রামের অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় হামলাকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ ঘটনায় সাহাবউদ্দিনের ছেলে অজিউল্লাহ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রূপগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) এইচএম জসিম উদ্দিন বলেন, নিহত আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা ছিল। পূর্ব-শত্রুতার জের ধরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ খবর পেয়ে আবার তার অনুসারীরা ভাঙচুর-লুটপাট চালিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।