দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন গোগনগর ইউনিয়নের সৈয়দপুরে ঘুড়ি পাড়াকে কেন্দ্র করে দু’এলাকাবাসীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় -১৫ আহত হয়েছে।

নারায়নগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন)  আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়,গত রবিবার পুরাতন সৈয়দপুর এলাকার রোস্তম বাহিনীর সদস্য পারভেজের একটি ঘুড়ি এসে নতুন সৈয়দপুর এলাকার সানাউল্লাহ এর পুত্র মন্জিলের বাড়ির আমগাছের উপর এসে পড়ে। আমগাছ থেকে ঘুড়ি পাড়তে চাইলে বাধাঁ দেয় মঞ্জিলের লোকজন। এতে করে উভয়ের সাথে তর্কবিতর্ক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (৫ মে) সকাল ১১ টায় গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নওশেদ আলীর বাসভবনে বিচার শালিশ বসে। বিচারে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে নতুন সৈয়দপুর ও পুরাতন সৈয়দপুর এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। উভয় পক্ষের ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে ইটের আঘাতে ১৫ জন আহত হয়।

উভয় পক্ষের আহতরা হলেন, আমজাদ হোসেন, লতিফ মেম্বার, কাওছার, রাসেল আহম্মেদ, আজমীর,মোশাররফ, নাহিদ সহ ১৫ জন।আহতদের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মঞ্জিলের লোকজন জানান,সন্ত্রাসী রোস্তমের নেতৃত্বে তার ভাগিনা রিহান, অনিক, রাব্বি,  জয়নাল, অংকন,রবিন, আনছার, রবেল, কবির, নজরুল, হানিফ, টিটু, সৈয়দ হোসেনের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন সন্ত্রাসী অর্তকিত ভাবে আমাদের উপর হামলা চালায়। বাড়িতে প্রবেশ করে মহিলাদের মারধর ও বাড়িঘর ভাংচুর চালায়।

অপর দিকে রোস্তমের লোকজনের দাবী প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী মোক্তার, লতিফ মেম্বার,  মন্জিল, সনি, সজীব,  আকাশ, আনোয়ার হোসেন,  তোফাজ্জল মেম্বার ও তাজেল এর নেতৃত্ব আমাদের লোকজনের উপর হামলা চালায়। তারা আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখায় আমাদের লোকজন মার খায়। এতে করে মোশাররফ ও নাহিদ গুরুতর জখম হয়। বর্তমানে এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নওশেদ আলীর কাছে জানতে চাইলে তার পুত্র ছবি তুলতে বাধাঁ দেয় এবং কিছু বলতে নিষেধ করে। গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে।

সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ অপারেশন আব্দুল হাই উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।