দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ শহরের ২নং বাবুরাইলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র একই পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করার মামলায় একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।
সোমবার (১৫ জুন) রাতে মামলার ২নং আসামী হাবিবকে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ।
জানাগেছে, গত ২৯ এপ্রিল (বুধবার) ২নং বাবুরাইলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র মৃত আব্দুল মালেক সরদারের ছেলে শুক্কুর আলী ও সবুর আলীর উপর হামলা চালায় সেলিম, হাবিব ও কামরুলগংরা।
এদিন সকালে সেলিম, হাবিব গাজা সেবন করে দেশীয় অস্ত্রসহ শুক্কুর আলী ও সবুর আলীর পরিবারকে মারধর ও এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয় এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করলে এতে সবুর আলীর স্ত্রী মোর্শেদা বেগম (৩৫) ও শুক্কুর আলীর স্ত্রী বৃদ্ধা হেলেনা বেগম (৬০) প্রতিবাদ করলে তাদেরকে দাড়ারো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুঁপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এ সময় তাদের চিৎকারে শুক্কুর আলী ও মারুফ এগিয়ে এলে তাদেরকে ইট দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয়রা ছুটে আসলে সস্ত্রাসীরা পরবর্তীতে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এদের মধ্যে হেলেনা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়। পরে পঙ্গু হাসপাতাল থেকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয় হেলেনা বেগমকে। এ ঘটনায় মোর্শেদা বেগমের শরীরে ১৪ টি সেলাই করা হয় এবং অপর দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
এদিকে হেলেনা বেগমকে প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে প্রায় দেড়মাস চিকিৎসা শেষে বাসায় আনা হলেও তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন। আর মোর্শেদা বেগমও গুরুত্বর ক্ষত নিয়ে প্রতিনিয়ত ব্যাথায় ছটফট করে চলেছেন।
এ বিষয়ে গুরুত্বর আহত হেলেনা বেগমের ছেলে মিন্টু বাদি হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় মো: সেলিম, হাবিব, মো: কামরুল ও পারভীন বেগমের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০৩, তারিখ: ৩০/০৪/২০২০ ইং।
এ মামলার আসামীরা দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর মঙ্গলবার (১৬ জুন) তাদের একজনকে গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামী হাবিব এ মামলার ২নং আসামী।
এদিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণঞ্জ সদর থানা ওসি (অপারেশন) আব্দুল হাই। তিনি জানান, একই পরিবারের ৪ জনকে কুঁপিয়ে জখম করার মামলায় হাবিব নামে একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামীদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
এ বিষয়ে মামলার বাদিপক্ষরা বাকি আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তারা সাংবাদিকদের বলেছেন, এ আসামীরা যতদিন ধরাছোয়ার বাহিরে থাকবে ততদিন আমরা তথা আমাদের পরিবারের কেউ নিরাপদ থাকবো না। তারা প্রকাশ্যে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আমাদের হত্যা করার চেষ্টা করেছে এবং পালিয়ে যাবার সময় প্রাণনাশের হুমকিও দিয়ে গেছে। এমতাবস্তায় তারা যদি গ্রেফতার না হয়, তাহলে আমাদের প্রাণের সংশয় থেকেই যাবে। তাই আমরা নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি’র প্রতি অনুরোধ করবো, তাদেরকে যেন দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। যাতে করে ওই আসামীরা আর কখনো কোন পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে হত্যা করার চেষ্টা না করতে পারে।