দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ ঢাকার শ্যামবাজারে বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া মনিং বার্ড লঞ্চের এখন পর্যন্ত নারী,পুরুষ,শিশু সহ ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। ক্রমেই মরদেহের সংখ্যা বেড়ে চলছে। এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ উদ্ধারকৃত মরদেহের সংখ্যার তথ্য জানানো হয়নি ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে।
সোমবার(২৯ জুন)সকাল ৭টায় মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকা সদর ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা মনিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাটের আগে ঢাকার শ্যামবাজার চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় সকাল ৯টায় ডুবে যায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে।ময়ূর-২ লঞ্চটি আটক করা হলেও লঞ্চের চালক পলাতক রয়েছে।
খবর পেয়ে উদ্ধার কাজে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মীরা।এছাড়াও র্যাব,পুলিশ ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রিসেন্ট ও স্থানীয় সাধারণ মানুষ উদ্ধার কাজে সহযোগীতা করে যাচ্ছে।নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হয়েছে লঞ্চ প্রত্যায়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিআইডব্লিউটিএ এর পরিবহন পরিদর্শক মো. সেলিম জানান, এমভি মর্নিং বার্ড নামের ওই লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে যাত্রী নিয়ে সদরঘাটের দিকে আসছিল। শ্যামবাজারের কাছে নদীতে চাঁদপুর থেকে আসা ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়।মর্নিং বার্ড নামের ওই লঞ্চে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও অনেকেই ভেতরে আটকা পড়েন। তবে ঠিক কতজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়।
শ্যামবাজারের দূর্ঘটনা স্থলের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চাঁদপুর থেকে আসা ময়ূর-২ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে লালকুঠী ঘাটে যাত্রী নামিয়ে সদরঘাটের চাঁদপুর ঘাটে গিয়ে নোঙ্গর করার জন্য ব্যাক গিয়ারে ঘুরছিল। ওই সময় পেছনে নদীতে থাকা এমভি মর্নিং বার্ডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
ইতিমধ্যে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গঠিত কমিটির প্রধান করা হয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. রফিকুল ইসলাম খান। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।এছাড়াও নিহত পরিবারদের প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার টাকা সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছে।