দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ সোনারগাঁয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষর ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি বর্ষণ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সোমবার(৮ জুন) সকালে সোনরাগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, গত মাসের ২৮ তারিখ বিকালে উপজেলার বারদি ইউনিয়নের শান্তিরবাজার এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাববিুর রহমান ওরফে হাবু ও চেঙ্গকান্দী গ্রামের জমিলা মেম্বারের ছেলে সোহেল, জুয়েল ,ফুারুক মেম্সবারের মর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘষে ইউপি সদস্য হাবুকে কুপিয়ে জখম করে সোহেল গ্রুপের লোকজন।
এ সংঘর্ষের জের ধরে গতকাল রবিবার বিকেলে হাবু মেম্বারের ছেলে শান্তির বাজারে চটপটির দোকানে বসা অবস্থায় সোহেল গ্রুপের লোকজন তাকে মারধর করে। পরে আজ সোমবার সকালে মাইকে দু্ই গ্রামের লোক জনদের মাঠে নামার ঘোষনা দিলে মান্দারপাড়া গ্রামের হাবু মেম্বার, কেঙ্গাকান্দী গ্রামের জমিলা মেম্বারর ছেলে সোহেল, জুয়েল ও ফারুক মেম্বারের সমর্থকরা দেশী তৈরী অস্ত্রেস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ৮/১০টি ককটেল নিক্ষেপ ও দফায় দফায় উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দফায় দফয় সংঘর্স ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা চলে। খরব পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ২০ রাউন ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্ঠা করে। পরে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাইদুল ইসলাম উভয় গ্রুপের লোক জনদের সুষ্ঠু বিচারের আশ্বস্ত করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষে উভয় পক্ষের উত্তেজির জনতাকে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বস্ত করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্ররন আসে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, বারদী ইউনিয়নের মান্দারপাড়া ও চেঙ্গাকান্দীর দুই গ্রামের মধ্যে আজ সকালে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষে করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে